Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

সরকারি প্রকল্পে ‘কোটা’ নেই, প্রশ্ন বিরোধীর

নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য আবাসন প্রকল্প ‘গীতাঞ্জলি’র আওতায় শুধুই শাসক দলের বিধায়কদের সুপারিশ কেন মানা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৭ ১৫:০০
Share: Save:

সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে বৈষম্য চলছে, বারবার এই অভিযোগ করা সত্ত্বেও প্রতিকার মিলছে না বলে এ বার সরব হলেন বিরোধী দলনেতা। নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য আবাসন প্রকল্প ‘গীতাঞ্জলি’র আওতায় শুধুই শাসক দলের বিধায়কদের সুপারিশ কেন মানা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি জলপাইগুড়ির জেলাশাসক ‘গীতাঞ্জলি’ প্রকল্পের জন্য একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন। সেখানে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতির জন্য ৩০ জনের নাম সুপারিশ করার সংস্থান রাখা হয়েছে। জলপাইগুড়ির সাংসদ পাবেন ৩০০ জনের ‘কোটা’। ওই নির্দেশিকার প্রতিলিপি দেখিয়ে শুক্রবার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান সরাসরি প্রশ্ন তোলেন, ‘‘জলপাইগুড়িতে শাসক দলের বিধায়কেরা ১২৫টি করে কোটা পেয়েছেন। অথচ ওখানে কংগ্রেসের বিধায়ক সুখবিলাস বর্মার কোনও কোটাই নেই! সরকারি প্রকল্পে এই ধরনের বৈষম্য কী করে হয়?’’

তবে কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসক দলের মধ্যে তলে তলে সমঝোতার অভিযোগ করতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা বলে ফেলেছেন, নাগরাকাটার বিজেপি বিধায়কও ‘গীতাঞ্জলি’র কোটা পেয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিতেও সে কথা লিখেছেন তিনি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে নাগরাকাটায় বিজেপি-র বিধায়ক নেই, আছে মাদারিহাটে।

ভুল বুঝতে পেরে মূল বক্তব্য একই রেখে কেন্দ্রের নাম সংশোধন করে আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লেখেন মান্নান। তাঁর বক্তব্য, বিভিন্ন ক্ষেত্রেই এমন বৈষম্যের অভিযোগ নিয়ে আলোচনা করতে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও রকম সাড়া মেলেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE