মঞ্চে: সিউড়িতে জনসভায় অনুব্রত মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র
প্রার্থী নয়, তৃণমূলের প্রতীক দেখে ভোট দিতে জনগণের কাছে আবেদন জানালেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। রবিবার সিউড়িতে এনআরসি-সিএএ-র প্রতিবাদে হওয়া জনসভায় এসে এমনই বার্তা দেন অনুব্রত।
এ দিন দুপুরে সিউড়ির বেণীমাধব স্কুলের মাঠে এনআরসি-সিএএ-র প্রতিবাদে একটি জনসভার আয়োজন করেন সিউড়ি শহর এবং সিউড়ি ১ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা। যেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, জেলা সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ, জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়, সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, সিউড়ি পুরসভার পুরপ্রধান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়, সিউড়ি ১ ব্লকের সভাপতি স্বর্ণশঙ্কর সিংহ -সহ কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক।
এনআরসি-সিএএ প্রতিবাদে জনসভা হলেও এ দিন সভায় পুরভোটের প্রসঙ্গ টেনে আনেন অনুব্রত। সভায় আগত মানুষদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘প্রার্থী নয় তৃণমূলের প্রতীক দেখে ভোট দিন।’’
এ দিন মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনুব্রত সিএএ ও এনআরসির তীব্র বিরোধিতা করেন। একই সঙ্গে তিনি কেন্দ্র সরকারকে চড়া সুরে আক্রমণ করেন৷ তাঁর কথায়, ‘‘আপনারা দলিল দেখাবেন না। দলিল চাইলে মাথা থেকে পা পর্যন্ত যা করার করবেন। আইন হাতে তুলে নেবেন না।’’ তবে ‘‘মাথা থেকে পা পর্যন্ত’’ কী করার কথা তিনি বলতে চেয়েছেন সেই নিয়ে অবশ্য খোলসা করে তিনি কিছু বলেন নি। এ দিন তিনি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হলে তাঁকে করোনাভাইরাসের প্রসঙ্গে জিজ্ঞেসা করা হলে তিনি বলেন, ‘‘করোনা ভাইরাসের থেকে ভারতবর্ষের ভাইরাস আরও বেশী। মোদি ভাইরাসের কারণে দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত।’’ তিনি নাম না করে বাম কংগ্রেসের জোটকেও তীব্র কটাক্ষ করেন। এ দিন তিনি রেশন ডিলারদের নিয়ে ব্লক সভাপতিদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘সপ্তাহে চারদিন রেশন দোকান না খুললে থানায় জানাবেন, বিডিও কে জানাবেন।’’
এ দিন সভা শেষে একদল মহিলা ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর খিতেন দাসকে পুনরায় প্রার্থী করার জন্য বললে ক্ষুদ্ধ হন অনুব্রত। তিনি বলেন, ‘‘তোমাকে কেউ শিখিয়ে পাঠিয়েছে। আমি শুনব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy