আরাবুল ইসলাম। ফাইল চিত্র।
নিজের বাড়িতে থাকতে পারবেন না। এমনকি নিজের খাসতালুকে ঢুকতেও পারবেন না। ভাঙড়ে খুনের মামলায় গ্রেফতারের প্রায় ৭৩ দিন পরে এই সব শর্তেই জামিন পেলেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। আজ, মঙ্গলবার তিনি ছাড়া পেতে পারেন বলে জানান তাঁর আইনজীবী।
সোমবার বারুইপুর আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক পরেশচন্দ্র কর্মকার তাঁর নির্দেশে জানান, ভাঙড়, কাশীপুর ও রাজারহাট থানা এলাকায় ঢুকতে পারবেন না আরাবুল। কাশীপুর থানার উত্তর গাজিপুরেই আরাবুলের বাড়ি। আপাতত সেই বাড়িতে থাকা হচ্ছে না তাঁর।
২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি পুলিশের উপরে হামলার জেরে রাষ্ট্রদ্রোহের (ইউএপিএ) মামলায় অভিযুক্ত নকশাল নেতানেত্রী শর্মিষ্ঠা চৌধুরী-অলীক চক্রবর্তীকেও কাশীপুরে না-ঢোকার শর্তে কিছু দিন আগে জামিন দিয়েছে আদালত। তাঁরাও ভাঙড়ের আন্দোলনে যুক্ত। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘শর্তাধীন জামিনের নির্দেশে দুই যুযুধান নেতাই কার্যত পাওয়ার গ্রিড চত্বর-ছাড়া হয়ে রইলেন।’’ ভাঙড়ে সমাধানসূত্রের খোঁজে আলোচনা শুরু হয়েছে। সেই সময়ে দুই নেতাকেই এলাকার বাইরে থাকতে হবে। এটা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট শিবির।
পঞ্চায়েত ভোটের মুখে, ১১ মে কাশীপুরের নতুনহাটে পাওয়ার গ্রিড-বিরোধী আন্দোলনকারী প্রার্থীদের প্রচার মিছিলে হাফিজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর পরে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আরাবুলকে গ্রেফতার করা হয়। অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে দু’দফায় ভর্তি করানো হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সরকারি কৌঁসুলি তপন মণ্ডল বলেন, ‘‘আন্দোলনকারীরা আরাবুল বাহিনীর বিরুদ্ধে মারধর ও হুমকির অভিযোগ তুলেছেন। তদন্ত ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করেই হয়তো ভাঙড় ও কাশীপুর থানা এলাকায় আরাবুলের প্রবেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন বিচারক।’’
আরাবুল এখন আছেন এসএসকেএমের কার্ডিওলজি বিভাগে। জামিনের নথি ও আলিপুর জেলের অনুমতিপত্র জমা দেওয়ার পরেই আরাবুল মুক্তি পাবেন বলে জানান তাঁর আইনজীবী জয়িষ্ণু বসু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy