আংশিক তৈরি আগ্লেয়াস্ত্রের এই রকম অংশই উদ্ধার করেছে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র্
হলদিয়া থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে ভাগ্যবন্তপুরে লেদ কারখানার আড়ালে চলছিল বেআইনি অস্ত্র কারখানা। জাল নোট পাচারকারীদের সূত্রে শুক্রবার সেই কারখানার হদিস পেল কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। উদ্ধার হল একশোটি অর্ধেক তৈরি হওয়া অস্ত্র, অস্ত্র তৈরির যন্ত্রাংশ ও ‘ডাইস’।
ভাগ্যবন্তপুর গ্রামে হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কের পাশে পেট্রল পাম্প লাগোয়া একটি সাইকেল গ্যারাজ রয়েছে। ঠিক তার পিছনে নির্মীয়মাণ পাকা বাড়ির একতলায় ঘরে চলত সাইকেল মেরামতি ও লেদ কারখানার কাজ। আড়ালে সেখানেই তৈরি হত অস্ত্র। এ দিনের অভিযানে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশও ছিল। জেলার পুলিশ সুপার ভি সলোমন নেসাকুমার বলেন, ‘‘জেলা পুলিশকে নিয়ে এসটিএফ একশোটি অসম্পূর্ণ আগ্নেয়াস্ত্র ও যন্ত্রপাতি আটক করেছে। তবে কাউকে ধরা যায়নি।’’
নির্মীয়মাণ বাড়িটির মালিক সমর মণ্ডল জানান, কয়েক মাস মদন মাঝি পরিচয় দিয়ে এক জন লেদ কারখানা করবে বলে তাঁর বাড়ির একতলায় চারটি ঘর ভাড়া নিয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, মদন মাঝির খোঁজ এখনও মেলেনি।
এসটিএফ সূত্রের খবর, গত ১৩ জানুয়ারি রাতে নারকেলডাঙা থেকে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র ও জাল ভারতীয় নোট সমেত ছ’জন ধরা পড়েছিল। ধৃতদের মধ্যে ছিল মুঙ্গেরের তিন জন। তারাই অস্ত্র কারবারি। বাকিরা জাল নোটের কারবারে যুক্ত। ধৃতদের জেরা করে জালনোটের বিনিময়ে বেআইনি অস্ত্রের কারবারের হদিস পান গোয়েন্দারা। তাঁরা জানান, মুঙ্গেরের কয়েক জনই মাস পাঁচেক আগে স্থানীয় এক জনের মাধ্যমে ভাগ্যবন্তপুরে এসে অস্ত্র তৈরির কারবার শুরু করে।
গোয়েন্দাদের মতে, মূলত জাল নোটের কারবারিদের মাধ্যমে অস্ত্র যেত বাংলাদেশে। ধৃতদের আরও দাবি, বাংলাদেশের পাশাপাশি এখানেও লোকসভা নির্বাচনের আগে অস্ত্র তৈরির বড় বরাত পেয়েছিল তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy