ভোটের জমি ফিরে পেতে এবার বিভিন্ন দল থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ানোর তোড়জোড়।
পুরুলিয়ায় ‘বিরোধীমুক্ত’ করার স্লোগান দিয়ে কাজ হয়নি। তবে নদিয়ায় সে কাজ অনেকটাই সেরে ফেলেছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার নদিয়ায় কার্যত ‘গণযোগদান’-এর মঞ্চ বাঁধছে তৃণমূল। জেলা দলের হিসেব অনুযায়ী, পঞ্চায়েতের তিন স্তরের প্রায় ২০০ নির্বাচিত সদস্য একযোগে তৃণমূলে যোগ দেবেন এই মঞ্চে। যোগদান মঞ্চে থাকবেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে নদিয়ার একাধিক জায়গায় ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূল। ৪৭ টি আসনের ৪৫ টি পেয়ে জেলা পরিষদে একচ্ছত্র প্রভাব থাকলেও নীচের তলায় বহু আসন তাদের হাতছাড়া হয়েছে। লোকসভা ভোটের আগে এই ফল চিন্তায় ফেলেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে। জেলার পর্যবেক্ষক হিসেবে পার্থবাবু দলের বিধায়কদের বারবার সতর্ক করে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বিধানসভার শেষ অধিবেশনে জেলার দলীয় বিধায়কদের ডেকে উদ্বেগ স্পষ্ট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। তার পরই বিরোধীদের দলে টানতে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা জানান পার্থ। নদিয়া জেলার ভারপ্রাপ্ত নেতা পুন্ডরীকাক্ষ (নন্দ) সাহা বলেন, ‘‘সব বিধায়ক ও নেতাদের বলা হয়েছে, আগ্রহীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে। সেই মতো ২০০ জনকে পাওয়া গিয়েছে।’’এই যোগদান প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করলে ১১৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েত গঠন নির্বিঘ্ন হবে। কারণ, বোর্ড গঠনের দিন ক্ষণ ঠিক হয়ে গেলেও বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতা সংক্রান্ত মামলা চলায় বহু জায়গায় তা এখনই করা যাবে না। যেখানে এই বাধা থাকবে না, সেখানে বোর্ড গড়ে কাজ শুরু করতে চাইছে শাসক শিবির।
বিজেপি, সিপিএম-সহ দলের বিক্ষুব্ধদের মধ্যে জয়ী সদস্যের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই তালিকা চূড়ান্ত করতে বৈঠকে বসছেন জেলার নেতারা। পুন্ডরীকাক্ষবাবু বলেন, ‘‘জেলা পরিষদের দু’জন এই তালিকায় নেই। যাঁদের দলে নেওয়া হচ্ছে, তাঁরা নিজেরাই আগ্রহ দেখিয়েছেন।’’
কিন্তু নির্বাচনে জেতা বিরোধীদের এ ভাবে দলে নেওয়ায় প্রশ্ন উঠছে। পুরন্ডরীকাক্ষবাবু বলেন, ‘‘কোথাও যোগদানের জন্য জোর করা হয়নি। যাঁরা আসবেন স্বেচ্ছায় আসবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy