Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

গুজব রোগে দাওয়াই পত্রপাঠ গ্রেফতারি

পুলিশকর্তারা বলছেন, এই ধরনের গুজবে ব্যবস্থা নিতে বিশেষ দল গড়া হয়েছে। কয়েক দিন আগেই হোয়াটসঅ্যাপে ‘মরফিন’ ভাইরাসের হানার খবর ছ়ড়ানোর জন্য ‘বনগাঁ লোকাল’ নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের তিন ‘অ্যাডমিন’ বা নিয়ন্ত্রককে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। 

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

কুন্তক চট্টোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৭:০৯
Share: Save:

কখনও ছ়ড়াচ্ছে ছুটির গুজব, কখনও বা গোষ্ঠী-সংঘর্ষে উস্কানিমূলক খবর। সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজবের তালিকায় নয়া সংযোজন ভাইরাসবাহিত রোগ!

এই প্রবণতা ঠেকাতে কড়া দাওয়াইয়ের ব্যবস্থা করছে রাজ্য পুলিশ। সাইবার জগতে নজরদারি চালিয়ে সিআইডি-র গোয়েন্দারা দেখেছেন, এই প্রবণতা বা়ড়ছে। তার পরেই সিআইডি-র এডিজি সঞ্জয় সিংহ হাওড়া, বিধাননগর, ব্যারাকপুর-সহ বিভিন্ন কমিশনারেটের প্রধান এবং জেলার পুলিশ সুপারদের কাছে একটি নির্দেশিকা পাঠিয়ে বলেন, এই ধরনের অভিযোগ পেলেই সঙ্গে সঙ্গে মামলা রুজু করে গ্রেফতার করতে হবে অভিযুক্তদের। পাশাপাশি ওই ধরনের গুজব যাতে দ্রুত সরিয়ে ফেলা যায়, সে ব্যাপারে উদ্যোগী হবে সিআইডি।

পুলিশকর্তারা বলছেন, এই ধরনের গুজবে ব্যবস্থা নিতে বিশেষ দল গড়া হয়েছে। কয়েক দিন আগেই হোয়াটসঅ্যাপে ‘মরফিন’ ভাইরাসের হানার খবর ছ়ড়ানোর জন্য ‘বনগাঁ লোকাল’ নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের তিন ‘অ্যাডমিন’ বা নিয়ন্ত্রককে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।

পুলিশকর্তারা বলছেন, ক্রমশই মারাত্মক হয়ে উঠছে এই গুজব ছড়ানোর প্রবণতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তা ছড়িয়ে প়ড়ছে দাবানলের মতো! মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার পরেও এমন কয়েকটি গুজবের কথা কানে এসেছে গোয়েন্দাদের। ছেলেধরা কাণ্ডেও একই ভাবে গুজব ছড়ানো হচ্ছিল। কয়েক মাস আগে মেট্রোয় যুগলকে হেনস্থার পরে এক বৃদ্ধের ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। অথচ ওই ব্যক্তি যুগল-নিগ্রহের ঘটনায় কোনও ভাবেই জড়িত ছিলেন না!

রাজ্যের সাইবার মামলার বিশেষ কৌঁসুলি বিভাস চট্টোপাধ্যায় জানান, এই ধরনের অপরাধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা হতে পারে। গুজবের জেরে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ালে বা গোলমাল বাধালে সেটা জামিন-অযোগ্য অপরাধ। তিন বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে অপরাধীর।

পুলিশকর্তারা মনে করেন, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকের ব্যবহার বা়ড়লেও অনেকেই এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন নন। তাই কোনও ছবি, ভিডিয়ো বা লেখা পেলেই আগুপিছু না-ভেবে তা ছড়িয়ে দেন। নিজের অজান্তেই শামিল হন অপরাধে।

সিআইডি-কর্তারা জানাচ্ছেন, অসতর্ক অবস্থায় লোকে যাতে সাইবার আইনের জালে জড়িয়ে না-পড়েন, সেই জন্য নিয়মিত ফেসবুক, টুইটারে সচেতনও করা হয়। ‘‘তার পরেও যদি লোকে এমন বিভ্রান্তি ছড়ায়, কড়া দাওয়াই দিতেই হবে,’’ বলেন এক গোয়েন্দা অফিসার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Lynching Mob Arrest Medicine
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE