বরুণ ভুজেল। ফাইল চিত্র।
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা তথা বিমল গুরুঙ্গের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বরুণ ভুজেল (৪৭) মঙ্গলবার রাতে এসএসকেএম হাসপাতালে মারা গেলেন। প্রায় চার মাস ধরে তিনি বিচারাধীন বন্দি। কালিম্পং পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বরুণের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরেই অডিও-বার্তায় এক দিনের প্রতীকী বন্ধ ডাকেন গুরুঙ্গ। কিন্তু কালিম্পং বাদে কোথাও এই বন্ধে সাড়া মেলেনি।
ভুজেলের মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত চেয়েছেন গুরুঙ্গ। উচ্চপর্যায়ের তদন্ত চেয়েছেন বিনয় তামাঙ্গও। ভুজেলের বাবা রাজ্য পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত অফিসার। তাঁর দাদা রাজ্যের ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রাইফেলসে কর্মরত। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার উত্থানের পরে কালিম্পঙে যুব শাখার দেখাশোনা করতেন ভুজেল। ধীরে ধীরে তিনি গুরুঙ্গের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। কালিম্পং পুরসভার ভোটে তিনি পরপর দু’বার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত হন। গত ১৬ জুন কালিম্পং থানার পুলিশ তাঁকে একাধিক অভিযোগে গ্রেফতার করে। পুলিশের উপরে সশস্ত্র হামলা, সরকারি সম্পত্তিতে আগুন, খুনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা রুজু হয়। শিলিগুড়ি জেলে কিছু দিন ছিলেন ভুজেল। সেখানে পেটে ব্যথা হওয়ায় চিকিৎসা শুরু হয়। পরে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়, অগ্ন্যাশয়ের রোগে মারা যান ভুজেল। তাঁর ভাই বীরেনের অভিযোগ, ভুজেলকে পুলিশি হাজতে মারধর করায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসা না হওয়ায় তা জটিল আকার নেয়। তাঁর দাবি, তাঁরা পরিবারের পক্ষে নিজেদের খরচে বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা করানোর সুযোগ চেয়েছিলেন। কিন্তু, পুলিশ-প্রশাসন সেই দাবি মানেনি। বীরেনও উচ্চ পর্যায়ের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেন। কালিম্পং জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, সব অভিযোগই মিথ্যা।
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দিল্লির শাখার সভাপতি মনোজ শঙ্করকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিআইডি বুধবার দিল্লির সফরদরজঙ এনক্লেভ থানা এলাকা থেকে বিমল গুরুঙ্গের ঘনিষ্ঠ ওই নেতাকে গ্রেফতার করে। সিআইডি সূত্রের খবর, ভানু ভবনে হামলার মামলায় ফেরার ছিলেন মনোজ। তাঁকে এ রাজ্যে আনা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy