অশোক ভট্টাচার্য। —ফাইল চিত্র
পুরভোট করানোর ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। মঙ্গলবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে তিনি দাবি করেন, রাজ্যের ১৭টি পুরসভায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে প্রশাসক বসিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। পুরভোটের আসন সংরক্ষণের তালিকাও কেন পিছনো হয়েছে সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। এ দিন ওই বৈঠকে পুর এলাকায় বেশ কিছু নতুন কাজের শিলান্যাসেরও কথা ঘোষণা করেন মেয়র। সব কাউন্সিলরদের কাছে বামবোর্ডের কাজের খতিয়ান পাঠানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার রাজ্যে পুরসভাগুলিতে আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশের কথা ছিল। কিন্তু তা পিছিয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছে। মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের দাবি, সাংবিধানিক পরিকাঠামোর বাইরে গিয়ে এই আইন পাশ করেছে রাজ্য সরকার। অশোক বলেন, ‘‘কোনওভাবেই মেয়াদ ফুরনোর পরে এক বছরের বেশি প্রশাসক বসিয়ে চালানোর বিধান নেই। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সররকারকে জানিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও কেন এই তালিকা প্রকাশ পিছিয়ে যাচ্ছে?’’ কয়েকদিন আগেও একই দাবি তুলেছিলেন মেয়র। যদিও তাঁর দাবিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। পুরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার বলেন, ‘‘একই কথা বার বার করে বলছেন মেয়র। তাঁর কোনও কাজ নেই বোঝাই যাচ্ছে। বেশিরভাগ টাকা রাজ্য সরকার দেওয়ার পর তা শেষ করতে পারেননি।’’
শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়াদ ফুরনোর কথা ২০২০ সালের মে মাসে। তার আগেই পুরভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে ধরে নিয়েই বেশ কিছু নতুন প্রকল্পের শিলান্যাসের ঘোষণা এ দিন করে বাম পরিচালিত পুরবোর্ড। তার মধ্যে বেশ কিছু রাস্তাঘাট রয়েছে। বেশ কিছু নিয়োগ প্রক্রিয়াও নির্বাচন ঘোষণার আগেই সেরে ফেলতে তৎপর হয়েছেন তাঁরা। যদিও মেয়রের দাবি এই প্রকল্পগুলির সঙ্গে পুরভোটের কোনও যোগ নেই।
বামবোর্ডের সাফল্যের খতিয়ান দিতে গিয়ে মেয়র দাবি করেন, গত বছরের তুলনায় পুর এলাকায় কর সংগ্রহ বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। সকলের জন্য আবাসন প্রকল্প এবং উন্মুক্ত শৌচবিহীন শিলিগুড়ি তৈরির ক্ষেত্রে ৯৯ শতাংশ প্রাপকদের তালিকা ঠিক করে তাতে টাকা পাঠানো শুরু হয়েছে বলে জানান মেয়র। এপ্রিলের আগেই যাতে এই কাজগুলি শেষ হয়ে যায়, তা দেখতে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাস্তুকার এবং পুর আধিকারিকদের। কিছু প্রকল্পে সমস্যা হওয়ায় সেগুলির ঠিকাদারদের সঙ্গে বৈঠক করেন মেয়র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy