বিধানসভার সদস্যদের পরিচিতি পু্স্তিকা।
দল ভাঙানোর রাজনীতির বিরুদ্ধে খড়গহস্ত তিনি। বিধানসভার স্পিকারের কাছে দলত্যাগীদের বিধায়ক-পদ খারিজের দাবি জানিয়েছেন, দৌড়েছেন আদালতেও। সেই বিরোধী দলনেতাই এ বার হয়ে গেলেন শাসক দলের বিধায়ক!
তবে বাস্তবে নয়। বিধানসভার সদস্যদের পরিচিতি পু্স্তিকা ‘হু’জ হু’-র নতুন সংস্করণে!
প্রতি বার নির্বাচনের পরে এক বার করে ‘হু’জ হু’-র সংস্করণ প্রকাশ করে বিধানসভা। বিধানসভার ২০১৬ সালের নির্বাচনের পরবর্তী সংস্করণ প্রকাশ করে বিধায়কদের মধ্যে বিলি করা হয়েছে বুধবার। সেখানেই দেখা গিয়েছে, ১৮৭ নম্বর চাঁপদানি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের হয়ে নির্বাচিত সদস্যের নাম আব্দুল মান্নান! তার পরেই শোরগোল উঠেছে বিধানসভায়। মুদ্রণ প্রমাদ হয়ে থাকলেও তা গুরুতর ভ্রান্তি বলেই স্বীকার করে নিয়েছেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: ঊনত্রিশ সেকেন্ডের ফোন কলই ডেকে আনল বিপর্যয়
আরও পড়ুন: শোকেও বিতণ্ডা, বাইরে প্রস্তাবপাঠ
মুদ্রণ প্রমাদের গুরুতর ভ্রান্তি স্বীকার করে নিয়েছেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
বিধানসভার বইয়ে তাঁর দল বদলের তথ্য দেখে স্বয়ং বিরোধী দলনেতার প্রতিক্রিয়া, ‘‘বরাবরের জন্য আমি ধর্মে মুসলিম, রাজনীতিতে কংগ্রেস। কবে তৃণমূলে যোগ দিলাম, আমিই জানি না! আমরা যে বলছি বিধানসভার গোটা কর্মকাণ্ড পরিচালনায় পাগলামি চলছে, তার আর একটা প্রমাণ মিলল!’’ মান্নানের কাছ থেকে বইয়ের তথ্যবিভ্রাটের খবর জেনেছেন পরিষদীয় মন্ত্রী। পার্থবাবু বলেন, ‘‘আমি নিজে বইটা দেখিনি। তবে আরও অনেক সতর্ক হয়ে এই বই ছাপা উচিত ছিল। আরও কোনও ভুল থাকলে সেগুলো চিহ্নিত করে সংশোধন করতে হবে।’’
—নিজস্ব চিত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy