প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর স্মরণসভায় রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী।ছবি পিটিআই
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর স্মরণসভায় প্রেক্ষাগৃহ উপচে পড়বে ভেবে মহাজাতি সদনের বাইরে এলইডি পর্দায় অনুষ্ঠান দেখার ব্যবস্থা রেখেছিল রাজ্য বিজেপি। সেখানেও সাজানো হয়েছিল চেয়ার। বাস্তবে প্রেক্ষাগৃহের অনেকটাই ভরল না। বাইরের চেয়ারে লোক বসা তো দূরস্থান! রাজ্য বিজেপি আয়োজিত ওই সভায় বক্তৃতা করতে গিয়েছিলেন দুই রাজ্যপাল— পশ্চিমবঙ্গের কেশরীনাথ ত্রিপাঠী ও মেঘালয়ের তথাগত রায়। রাজনৈতিক পরিচয়ে তাঁরা দু’জনেই সঙ্ঘ পরিবারের স্বয়ংসেবক।
বুধবার ওই অনুষ্ঠান শুরু হয় বিকেল চারটে কুড়িতে। তৃণমূল, সিপিএম এবং কংগ্রেস আগেই জানিয়েছিল, আমন্ত্রিত হলেও এ দিনের অনুষ্ঠানে তারা দলীয় প্রতিনিধি পাঠাবে না। তবে রাজ্য সরকারের তরফে তথ্য ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন ফুল দিয়ে বাজপেয়ীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আসেন। বিজেপি-র কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহের কটাক্ষ, ‘‘মার্ক্সবাদী নেতা হয়েও জ্যোতি বসু বাজপেয়ীজির প্রতি মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন। অথচ তাঁর উত্তরসূরীরা বাজপেয়ীর স্মরণসভায় এলেন না! এলে কিন্তু মহাভারত অশুদ্ধ হত না। কারও বাড়িতে গিয়ে বাজপেয়ীজি তাঁর মাকে প্রণাম করেছিলেন। এখানে উপস্থিত থাকলে প্রধান দল কি তৃতীয় বা চতুর্থ স্থানে নেমে যেত?’’ রাহুলবাবুর প্রস্তাব, ‘‘আজ না হয় সকলে মিলে অটলজিকে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারলাম না, কিন্তু আসুন, আগামী দিনে সকলে মিলে তাঁর একটি বিশাল মূর্তি স্থাপন করি।’’
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘বাজপেয়ীজির অসম্পূর্ণ কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শপথ আজ আমাদের নিতে হবে। সেটাই হবে তাঁর প্রতি আমাদের প্রকৃত শ্রদ্ধাঞ্জলি।’’ প্রেক্ষাগৃহের ভাড়া মকুব করে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদও জানান দিলীপবাবু। উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ, কৈলাস বিজয়বর্গীয় প্রমুখ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy