Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

মুখ্যমন্ত্রীর সভায় অমিল মানপত্র

প্রশাসন সূত্রে খবর, আদিবাসী উন্নয়ন ও অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর সম্মান প্রাপকদের সম্পর্কে সময়মতো তথ্য জোগাড় করে উঠতে পারেনি। তাই তৈরি করা যায়নি মানপত্র।

মমতার পরশ: আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে শিশুকে আদর মুখ্যমন্ত্রীর। ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে। ছবি: দেবরাজ ঘোষ

মমতার পরশ: আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে শিশুকে আদর মুখ্যমন্ত্রীর। ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে। ছবি: দেবরাজ ঘোষ

কিংশুক গুপ্ত
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৮ ০২:৩৩
Share: Save:

মুখ্যমন্ত্রীর সভায় সম্মান প্রাপক মোটে পাঁচ। তবু তাঁদের দেওয়া গেল না স্মারক ও মানপত্র!

বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামে আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনেদের মানপত্র দিতে না-পারায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে। সাঁওতালি সিনেমার অভিনেত্রী বিরবাহা হাঁসদা, সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার প্রাপ্ত সাঁওতালি সাহিত্যিক খেরওয়াল সরেন, তিরন্দাজিতে এশিয়া কাপে জয়ী নয়াগ্রামের সুপর্ণা সিংহেরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে মানপত্র না-পাওয়ায় হতাশ। খেরওয়ালের কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী সংবর্ধনা দিলেন। অথচ সরকারের স্বীকৃতি স্বরূপ কোনও স্মারক বা মানপত্র পেলাম না। মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে এ সব পেলে ভাল লাগত।’’

কেন দেওয়া গেল না মানপত্র?

প্রশাসন সূত্রে খবর, আদিবাসী উন্নয়ন ও অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর সম্মান প্রাপকদের সম্পর্কে সময়মতো তথ্য জোগাড় করে উঠতে পারেনি। তাই তৈরি করা যায়নি মানপত্র। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মঞ্চেও অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। খেরওয়াল, সুপর্ণার পাশাপাশি, বিরবাহাকেও উত্তরীয় পরিয়ে হাতে জ্যাকেট ধরাতে গিয়ে থমকে যান মুখ্যমন্ত্রী। জেলার এক আধিকারিককে প্রশ্ন করেন, ‘‘বিরবাহার জন্য শাড়ি নেই কেন। ও কী জ্যাকেট পরবে!’’ পাশে দাঁড়ানো জেলাশাসক জানান, শাড়ি ও মানপত্র অভিনেত্রীর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার রাতেই শাড়ি পাঠানো হয়। তবে মানপত্র যায়নি।

এমন ঘটনায় গুঞ্জন শুরু হয়েছে। কারণ, এই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া গিয়েছিল। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন ৯ অগস্ট আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি ঝাড়গ্রামে যাবেন। তার পরেও আয়োজন কেন সুষ্ঠু হল না, সেই প্রশ্ন উঠছে।

প্রশাসন সূত্রের খবর, কাদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে সেই তালিকা জেলা থেকে নবান্নে পাঠানো হয়েছিল। সম্মানপ্রাপকদের সম্পর্কে পুলিশ ও গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে পাঁচ জনের নামে সম্মতি দেওয়া হয়। তার পরেও হাতে কয়েক দিন ছিল। কিন্তু বিশিষ্টজনেদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ আর করে উঠতে পারেনি আদিবাসী উন্নয়ন ও অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর। ফলে, মানপত্র তৈরি হয়নি। জেলাশাসক আয়েষা রানি মানছেন, ‘‘ফাঁক থেকে গিয়েছিল। বাড়িতে মানপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Certificate Jhargram Tribal Development Programme
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE