বাবুল সুপ্রিয়। ফাইল চিত্র।
যানজট নিয়ে পুরুলিয়ার জেলাশাসকের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়ালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। বৃহস্পতিবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সভায় যাচ্ছিলেন বাবুল। পথে যানজটে আটকান। বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ রাস্তায় জেলাশাসক অলকেশপ্রসাদ রায়কে দেখে কথা বলতে যান সাংসদ। কথোপকথন মোবাইলে ভিডিয়ো রেকর্ডও করেন।
বাবুলের দাবি, সভায় যাওয়ার জন্য অন্য রাস্তা ফাঁকা থাকলেও পুরুলিয়া শহরে রাঁচী রোডে সমস্ত গাড়ি ঢুকিয়ে যানজট তৈরি করা হয়েছে। ফলে, তাঁর দলের অনেক কর্মী সভায় পৌঁছতে পারেননি। তবে প্রশাসন সূত্রের দাবি, জেলার শ’দেড়েক এবং বাঁকুড়া, বীরভূম, আসানসোল, দুর্গাপুর ও ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ থেকে প্রায় ২০০ বাস শহরে ঢোকাতেই যানজট হয়।
‘ভিডিয়ো ফুটেজ’-এ শোনা যায়, বাবুল জেলাশাসককে বলছেন, ‘‘আপনার কাছে সাহায্য চাইছি। কিন্তু আপনি আমার কথা শুনবেন না বলছেন। রাস্তায় গন্ডগোল হচ্ছে দেখতে পেয়েও কালো কাচে ঘেরা গাড়িতে বসে মজা দেখছেন!’’ তিনি যানজট কাটাতে জেলাশাসককে তাঁর সঙ্গে যেতে বলেন।
জেলাশাসক বলেন, ‘‘ট্রাফিক দেখার কাজ আমার নয়। পুলিশ সুপারকে বলেছি।’’ বাবুল জেলাশাসককে বারবার বলতে থাকেন, ‘‘ক্যামেরার সামনে বলুন, আপনি আমার নির্দেশ মানবেন না। তার পরে দেখছি, পার্লামেন্ট কমিটিতে আপনার কী করা যায়!’’ জেলাশাসক বলেন, ‘‘আমি রাজ্য সরকারের চাকরি করি। রাজ্য সরকারের কথা শুনব।’’ বাবুল পরে বলেন, ‘‘আমি এই ঘটনার ভিডিয়ো সংসদীয় কমিটিতে পেশ করব।’’
জেলা প্রশাসন সূত্রের দাবি, কথা চলতে চলতে এক সময় সাংসদ নিজেই দরজা খুলে জেলাশাসককে গাড়ি থেকে নামতে বাধ্য করেন। ভিডিয়োতে বাবুলকে বলতেও শোনা গিয়েছে, ‘‘আমিই তো আপনাকে গাড়ি থেকে নামালাম।’’ জেলাশাসক পরে বলেন, ‘‘ঘটনাটি রাজ্য সরকারকে জানিয়েছি।’’ সেই সূত্রে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের একাংশের দাবি, সাংসদ আইনসঙ্গত কাজ করেননি। পরবর্তী পদক্ষেপ প্রশাসনের বিবেচ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy