Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
বাংলা বন্‌ধ

অবরোধ-অশান্তি-আগুন, বন্‌ধে ঈষৎ থমকাল বাংলা

শহরের বাইরে বন্‌ধের প্রভাব অপেক্ষাকৃত বেশি দেখা গিয়েছে। কারণ সরকারি পরিবহণ ব্যবস্থা বা পুলিশি বন্দোবস্ত জেলাগুলিতে তুলানমূলক ভাবে কম ছিল। আর বেসরকারি পরিবহণ ব্যবস্থা অনেক এলাকাতেই এ দিন ছিল অপ্রতুল। বিজেপির ডাকা বন্‌ধে এ দিন সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে সেই সব জেলায়, যেখানে বিজেপির শক্তিবৃদ্ধির ইঙ্গিত মিলেছে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে।

ডালখোলায় জাতীয় সড়কে আগুন। নিজস্ব চিত্র।

ডালখোলায় জাতীয় সড়কে আগুন। নিজস্ব চিত্র।

সিজার মণ্ডল ও ঈশানদেব চট্টোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২০:১৬
Share: Save:

গত কয়েক বছরের আর পাঁচটা বন্‌ধের চেয়ে বুধবারের বন্‌ধটা ধারণাতেই আলাদা ছিল। বন্‌ধ ঘিরে যে আতঙ্ক-উদ্বেগের আবহ আগের জমানায় দেখা যেত এ রাজ্যে, বেশ কয়েক বছর পরে কোনও বন্‌ধকে ঘিরে তেমন ধারণা তৈরি হয়েছিল। সকাল থেকে কোথাও রেল অবরোধ, কোথাও রাস্তা রোকোর খবর সে আবহে ইন্ধন জোগাল। ফলে সরকারি অফিস-কাছারিতে হাজিরা স্বাভাবিক থাকলেও, লোকজন রাস্তাঘাটে কিছুটা কম বেরোলেন। মোটের উপরে নির্বিঘ্নেই কাটল দিন, তবে ঈষৎ থমকেও গেল জনজীবন।

বিজেপির লক্ষ্যও সম্ভবত ছিল স্বাভাবিক জনজীবনে প্রভাব ফেলা। কিন্তু কলকাতায় যে পরিমাণ পুলিশি বন্দোবস্তের নির্দেশ জারি হয়েছিল এবং তৃণমূল দল যে ভাবে পথে নামার প্রস্তুতি নিয়েছিল, তাতে রাজ্যের রাজধানীকে অচল করে দেওয়া যে সহজ হবে না, তা বিজেপি নেতৃত্ব সম্ভবত আগেই বুঝে যান। তাই সকাল থেকেই বিকল্প কৌশল নেন বিজেপি কর্মীরা। শহরতলি এবং হাওড়া, হুগলি ও দুই ২৪ পরগনার যে সব এলাকা থেকে রোজ কর্মসূত্রে হাজার হাজার লোক কলকাতায় ঢোকেন, সেই সব এলাকার ট্রেন পরিষেবা রুখে দেওয়ার পরিকল্পনা করে বিজেপি।

শিয়ালদহ মেইন শাখা, বনগাঁ শাখা এবং শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার বিভিন্ন স্টেশনে দফায় দফায় রেল অবরোধ করা হয়। হাওড়াগামী বিভিন্ন ট্রেনও রুখে দেওয়ার চেষ্টা হয় বিভিন্ন জেলায়। রেল এড়িয়ে সড়ক পথে অনেকেই কলকাতায় পৌঁছন ঠিকই। তবে দিনের সবচেয়ে ব্যস্ত সময়টাতেই রেল পরিষেবা কিছুটা আটকে যাওয়ায় অনেকেই এ দিন কলকাতায় ঢুকতে পারেননি। কলকাতার পথঘাট অপেক্ষাকৃত ফাঁকা থাকার অন্যতম কারণ সেটাও। অশান্তির আশঙ্কাতেও কেউ কেউ রাস্তা না বেরনোই নিরাপদ মনে করেছেন।

আরও পড়ুন:পুরো ব্যর্থ বন্‌ধ, দাবি মমতার, তৃণমূলই সফল করে দিয়েছে, কটাক্ষ দিলীপের

অশান্তি অবশ্য কলকাতায় সে ভাবে ঘটতে দেয়নি পুলিশ-প্রশাসন। শহর এবং শহরতলির প্রায় সব এলাকাতেই এ দিন অধিকাংশ দোকানপাট খোলা ছিল। পরিবহণ দফতর অতিরিক্ত বাস নামিয়েছিল রাস্তায়। তবে বেসরকারি যানবাহনের সংখ্যা কিছুটা কম ছিল। সকাল ৮টা থেকেই শহরের নানা প্রান্ত থেকে মিছিল বার করে বিজেপি। তৃণমূলও পাল্টা পথে নামায় কর্মী-সমর্থকদের। শ্যামবাজারের কাছে বিজেপি-তৃণমূলে ধস্তাধস্তিও বেধে যায়। তবে পুলিশ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনে পরিস্থিতি। যেখানে যেখানে বিজেপির মিছিল পথ অবরোধের চেষ্টা করে, সেখানেই সক্রিয় হয় পুলিশ। দ্রুত সরিয়ে দেওয়া হয় অবরোধকারীদের।

কলকাতায় বন্‌ধের সমর্থনে মিছিল বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। নিজস্ব চিত্র।

কলকাতায় বন্‌ধের সমর্থনে সবচেয়ে বড় মিছিলটি বেরিয়েছিল রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে। রাসবিহারী মোড় থেকে মিছিল নিয়ে হাজরা পর্যন্ত যান দিলীপবাবুরা। সেখানেই শুরু করেন অবস্থান। ফলে দক্ষিণ কলকাতার অত্যন্ত ব্যস্ত মোড় আটকে পড়ে। ট্র্যাফিক জ্যাম হয়ে যায় বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায়।

নবান্নে আগের রাত থেকে রেখে দেওয়া হয়েছিল সরকারি কর্মীদের। ফলে উপস্থিতির হার ছিল স্বাভাবিক। শহরের অন্যান্য অফিস-কাছারি, ব্যাঙ্ক-পোস্ট অফিস, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ও মোটের উপরে স্বাভাবিক ছন্দেই চলেছে। কয়েকটি স্কুল অবশ্য পরীক্ষা বাতিল করার কথা ঘোষণা করেছিল।

ব্রেবোর্ন রোড অবশ্য কিছুটা অশান্ত হয়ে ওঠে বন্‌ধের দিনে। বাস থামিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তবে এই সব বিক্ষিপ্ত গোলমাল ছাড়া ব্যাপক পুলিশি বন্দোবস্তের সুবাদে মোটের উপরে সচল এবং নির্বিঘ্ন ছিল কলকাতা।

শহরের বাইরে বন্‌ধের প্রভাব অপেক্ষাকৃত বেশি দেখা গিয়েছে। কারণ সরকারি পরিবহণ ব্যবস্থা বা পুলিশি বন্দোবস্ত জেলাগুলিতে তুলানমূলক ভাবে কম ছিল। আর বেসরকারি পরিবহণ ব্যবস্থা অনেক এলাকাতেই এ দিন ছিল অপ্রতুল। বিজেপির ডাকা বন্‌ধে এ দিন সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে সেই সব জেলায়, যেখানে বিজেপির শক্তিবৃদ্ধির ইঙ্গিত মিলেছে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে। ঝাড়গ্রাম এবং পুরুলিয়ায় প্রায় সর্বাত্মক চেহারা নিয়েছে বন্‌ধ। পশ্চিম মেদিনীপুরের সিংহভাগে এবং বাঁকুড়ার, রাইপুর, রানিবাঁধ, সারেঙ্গা, জয়পুরে জনজীবন বেশ প্রভাবিত হয়েছে।

ঝাড়গ্রাম শহরে বন‌্‌ধ পরিস্থিতি ছিল সর্বাত্মক। নিজস্ব চিত্র।

জঙ্গলমহলের মতো না হলেও, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বন্‌ধের কিছুটা প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। ডুয়ার্সে চা বাগানগুলিকে বন্‌ধের আওতার বাইরে রেখেছিল বিজেপি। ফলে চা বাগানে কাজ চলেছে স্বাভাবিক গতিতেই। কিন্তু আলিপুরদুয়ার শহরে এ দিন অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল। রাস্তায় গাড়িঘোড়া ছিল কম। জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি, মালবাজার, দিনহাটা, কোচবিহারের মতো শহরগুলিতে বন্‌ধে কিছুটা বিপর্যস্ত জনজীবন। শিলিগুড়িতে বন্‌ধের সমর্থনে পথে নেমে গ্রেফতার হতে হয় রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুকে।

যে ইসলামপুরে দুই ছাত্রের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এই বন্‌ধ, সেই ইসলামপুর সাংঘাতিক ভাবে উত্তপ্ত হয়েছে বন্‌ধের দিনে। দাড়িভিটে তো বটেই, গোটা ইসলামপুরেই বন্‌ধে এ দিন ভাল সাড়া ছিল। তার মধ্যেই এ দিন দাড়িভিটে ঢোকার চেষ্টা করেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু নানা এলাকায় বিজেপি পথ আটকে রাখায় শুভেন্দু শেষ পর্যন্ত দাড়িভিটে যেতে পারেননি। ইসলামপুরে তাঁর জনসভা করার কথা ছিল। সেই সভাস্থলে পৌঁছনোও এক সময় প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছিল শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষে। শুভেন্দু অধিকারীকে সভাস্থলে পৌঁছে দিতে শেষে তৃণমূল একটি মিছিল করে ইসলামপুর শহরে। সেই মিছিল থেকে বন্ধ দোকানপাট ভাঙচুর করা হয় এবং এলাকায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ব্যাপক তাণ্ডব চালায় বলে বিজেপির অভিযোগ। সভা করলেও, দাড়িভিট না গিয়েই কলকাতায় ফিরতে বাধ্য হন মন্ত্রী। তবে তিনি সেই সভা থেকেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে আসেন যে, তিনি ইসলামপুরে বা দাড়িভিটে ঢুকবেনই। কয়েক দিন অন্তর অন্তরই তিনি ইসলামপুরে যাবেন এবং ‘সাম্প্রদায়িক হনুমান’দের দেখে নেবেন— এমন হুঁশিয়ারি শোনা গিয়েছে পরিবহণ মন্ত্রীর মুখে।

কোচবিহারে বিজেপি সমর্থকদের মিছিল। নিজস্ব চিত্র।

রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ তীব্র আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু অধিকারীকে। এ দিন বিকেলে বিজেপি সদর দফতরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে দিলীপবাবু বলেন, ‘‘শুভেন্দু অধিকারী যখন থেকে উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন, তখন থেকেই হামলা শুরু হয়েছে।’’ শুভেন্দুর মিছিল থেকে ইসলামপুর বাজারে তাণ্ডব হয়েছে বলে অভিযোগ করে দিলীপ জানান, ওই তাণ্ডবের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরাও পথে নেমে আসেন। শুভেন্দুকে দিলীপের হুঁশিয়ারি— তিনি দাড়িভিট যাওয়ার চেষ্টা করলে আরও অশান্তি হবে। এলাকার মহিলারা দা-বঁটি নিয়ে এবং জনজাতি ভাই-বোনের তির-ধনুক নিয়ে অপেক্ষায় রয়েছেন বলেও দিলীপ এ দিন মন্তব্য করেছেন।

দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলাতেই বন্‌ধের প্রভাব সীমাবদ্ধ ছিল। উত্তর ২৪ পরগনার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে প্রভাব ছিল অপেক্ষাকৃত বেশি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতা, ডায়মন্ড হারবারে জনজীবন পুরোপুরি স্বাভাবিক ছিল না। নদিয়ার চাকদহ, শান্তিপুর, কৃষ্ণনগরে বন্‌ধের প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। বন্‌ধের ছাপ পড়েছে মুর্শিদাবাদেও। সে জেলায় বহরমপুরে এবং সামশেরগঞ্জে বিক্ষিপ্ত অশান্তিও হয়েছে।

মেদিনীপুর শহরে রণংদেহি মেজাজে বন্‌ধ সমর্থকেরা। নিজস্ব চিত্র।

পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল শিল্পাঞ্চলে এ দিন স্বাভাবিক কাজ চলেছে। তবে দোকান-বাজারে বন্‌ধের ছাপ ছিল। দুর্গাপুরেও কল-কারখানার পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। শহরের মধ্যে স্বাভাবিক ছিল মিনিবাস বা অটো পরিষেবাও। অফিস-আদালতও খোলা ছিল। কিন্তু স্টেশন বাজার, বেনাচিতি বাজার, মুচিপাড়া বাজার বা সিটি সেন্টারের মতো ব্যস্ত এলাকা এ দিন প্রায় বন্ধই ছিল।

বুধবারে বোলপুরে এমনিতেই বন্ধ থাকে দোকানপাট। তবে রাস্তাঘাটে লোকজনও সেখানে কিছুটা কম দেখা গিয়েছে এ দিন। সিউড়িতে বন্‌ধ সমর্থকরা রাস্তায় নেমে দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। বন্ধ করে কিছু অফিস-কাছারিও। পরে পুলিশ গিয়ে আবার সব খোলার ব্যবস্থা করে। তবে অশান্তির আশঙ্কায় ততক্ষণে কমে গিয়েছিল লোকজন।

আরও পড়ুন: ইসলামপুরে শুভেন্দুর মঞ্চে ওঠার পথ মসৃণ করতে ‘তাণ্ডব’ তৃণমূলের

মেদিনীপুর শহরে সব সরকারি অফিসে এ দিন হাজিরা ছিল স্বাভাবিক। তবে রাস্তাঘাট বেশ ফাঁকা ছিল। গড়বেতার বিভিন্ন ব্যস্ত এলাকা এ দিন প্রায় সুনসান ছিল।

হাওড়ায় বন্‌ধের প্রভাব তুলনায় অনেকটাই কম। মধ্য হাওড়া, দক্ষিণ হাওড়া, শিবপুরের কিছু কিছু এলাকায় দোকানপাট বন্ধ ছিল। তবে যানবাহন চলাচল ছিল স্বাভাবিক। গ্রামীণ হাওড়ার মধ্যে সাঁকরাইলে বন্‌ধের প্রভাব উল্লেখযোগ্য ছিল। অন্যান্য এলাকায় সরকারি পরিবহণ ব্যবস্থা সচল ছিল। বেসরকারি গাড়ির সংখ্যা ছিল অনেক কম।

হুগলি জেলায় শিল্পাঞ্জল ও শহরাঞ্চলে বন্‌ধের মূল প্রভাব পড়ে রেললাইনে। চূঁচুড়া, চন্দননগরের সকালের দিকে দোকানপাট বন্ধ ছিল। পরে পুলিশ গিয়ে বন্‌ধ সমর্থকদের সরিয়ে দিয়ে দোকান খোলায়। কিন্তু হুগলির গ্রামীণ এলাকায় বন্‌ধের কোনও প্রভাব পড়েনি। হুগলি, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনার শিল্পাঞ্চলে বন্‌ধের কোনও প্রভাব পড়েনি। গঙ্গার দুধারের কল-কারখানা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক গতিতেই চলেছে।

আরও পড়ুন: ‘আমরা তো ভাড়া দিই, তা হলে রেল দায়িত্ব নেবে না কেন?’

পূর্ব বর্ধমানের অধিকাংশ এলাকাতেই বন্‌ধের প্রভাব দেখা যায়নি। তবে পূর্বস্থলী, কালনায় ভাল সাড়া পড়েছে। অধিকাংশ দোকানপাটই খোলেনি। অধিকাংশ স্কুল-কলেজ থেকেছে ফাঁকা। কাটোয়ায় দোকানপাট ১১টা পর্যন্ত সে ভাবে খোলেনি। বর্ধমান শহরে কার্জন গেট সংলগ্ন এলাকায় দোকানপাট বন্ধ ছিল। দফায় দফায় অবরোধের জেরে বেশ কিছুক্ষণ আটকে গিয়েছিল ২ নম্বর জাতীয় সড়কও।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র নিন্দা করেছেন বন্‌ধের। ইতালির মিলান থেকেই তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘বন্‌ধ ব্যর্থ। বন্ধ্যা বন্‌ধ ব্যর্থ করার জন্য বাংলার মানুষকে অভিনন্দন। বিহার-ঝাড়খণ্ড থেকে জোর করে লোক ঢুকিয়ে বিজেপি ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু সার্বিক ভাবে বন্‌ধ ব্যর্থ।’’

(পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাংলায় খবর জানতে পড়ুন আমাদের রাজ্য বিভাগ।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE