এভাবেই শাস্তি দিলেন বাঁকুড়ার পুরপ্রধান। —নিজস্ব চিত্র
বাঁকুড়া শহর জুড়ে গত কয়েকদিন ধরেই রাস্তা দখল করে থাকা হকার উচ্ছেদ চলছে। আর সেই উচ্ছেদ হওয়া হকাররা যাতে ফের কোথাও রাস্তা দখল করে বসতে না পারেন তার জন্য সজাগ ছিলপুরসভা।
সজাগ ছিলেন খোদ পুরপ্রধানও। তাই পুরপ্রধান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত নিজেই মাঝে মধ্যে সঙ্গীদের নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়তেন সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে।মঙ্গলবারও তিনি বেরিয়েছিলেন একই ভাবে।
শহরের কেন্দ্রস্থল মাচানতলা। আর সেখানে এসেই পুরপ্রধানদেখতে পান, অবস্থা যে কে সেই।সেন্ট্রাল কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কের সামনের রাস্তা দখল করেই পসরা সাজিয়ে বসেছেন কিছু হকার।পথচলতি মানুষদের তোলা ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, ওই জায়গায় ফের হকার দেখেই মেজাজ হারান পুরপ্রধান। সঙ্গীদের নির্দেশ দেন, তাঁদের জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করতে। এর পরেই পুরপ্রধানের নজরে পড়ে সাদা-নীল চেক শার্ট পরা এক বিক্রেতার দিকে। পলিথিনের পসরা নিয়ে বসেছিলেন তিনি।সেই হকারকে রীতিমতো ধমক দেন তিনি। তারপরেই কালো জামা, চোখে রোদ-চশমা পরা পুরপ্রধানের এক সঙ্গী এগিয়ে যান ওই হকারের দিকে। আঙুল তুলে শাসানি শুরু হয়। তাঁর জিনিসপত্রও তুলে নেওয়া শুরু হয়। সেই মধ্যবয়স্ক হকার হাতজোড় করে কিছু বলছেন পুরপ্রধানকে সেই দৃশ্যও ধরা পড়েছে ভিডিয়োতে। আর তারপরেই দেখা যায়, পুরপ্রধানের সামনে কান ধরে ওঠবোস করছেন ওই হকার। ওঠবোস করার পর রেহাই পেয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন সেই হকার সেই দৃশ্যৃও ধরা পড়েছে ভাইরাল হয়ে যাওয়া ভিডিয়োতে।
দেখুন ভিডিয়ো
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে স্বামীর জামিনের আবেদন করে চ্যালেঞ্জ ভারতীর, আটকাতে মরিয়া সিআইডি
আরও পড়ুন: সুপার ইম্পোজ করে অশ্লীল ছবি সোশ্যাল সাইটে! রণক্ষেত্র নাদনঘাট
বাঁকুড়ার পুরপ্রধানকে যোগাযোগ করা হলে মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত বলেন,“গত তিনমাস ধরে আমরা বাঁকুড়া শহরকে যানজট মুক্ত করে সৌন্দর্যায়নের চেষ্টা করছি। মাচানতলা এলাকাটি খুব ঘিঞ্জি। তাই সেখানকার হকারদের প্রায় এক কিলোমিটার দূরে নতুন চটি কৃষক বাজারে পুনর্বাসনের ব্যাবস্থা করে দিয়েছি। তারপরেও কিছু হকার কথা শোনেন না। তাঁরা বারবার পুরনো জায়গাতেই এসে রাস্তা দখল করে বসেন। পুরসভার লোকজন গেলে তাঁদেরকেও গালিগালাজ করছে। তাই কাল আমি নিজে গিয়েছিলাম। আমাকে দেখেই ভয় পেয়ে কান ধরে ওঠবোস করে।”
বাংলার রাজনীতি, বাংলার শিক্ষা, বাংলার অর্থনীতি, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার স্বাস্থ্য, বাংলার আবহাওয়া - পশ্চিমবঙ্গের সব টাটকা খবর আমাদের রাজ্য বিভাগে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy