Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ফিরছেন পড়ুয়ারা, বসতে পারে ক্লাস বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে

শিক্ষামন্ত্রীর পরামর্শে উপাচার্য ধরণীধর পাত্রের নির্দেশ ইতিমধ্যেই বাতিল করেছেন অস্থায়ী রেজিস্ট্রার জয়ন্ত সাহা। হস্টেল খালি করা ও পঠনপাঠন বন্ধের নির্দেশ ফিরিয়ে নিয়েছেন। সোমবার বিশ্বকর্মা পুজো থাকায় কার্যত ছুটির দিন ছিল। অশান্তি-পর্বের পরে আজ, মঙ্গলবারই পুরোদমে খোলার কথা বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হরিণঘাটা শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:৩৯
Share: Save:

শিক্ষামন্ত্রীর পরামর্শে উপাচার্য ধরণীধর পাত্রের নির্দেশ ইতিমধ্যেই বাতিল করেছেন অস্থায়ী রেজিস্ট্রার জয়ন্ত সাহা। হস্টেল খালি করা ও পঠনপাঠন বন্ধের নির্দেশ ফিরিয়ে নিয়েছেন। সোমবার বিশ্বকর্মা পুজো থাকায় কার্যত ছুটির দিন ছিল। অশান্তি-পর্বের পরে আজ, মঙ্গলবারই পুরোদমে খোলার কথা বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

গত ৫ সেপ্টেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোহনপুর ক্যাম্পাসে দুই হস্টেলের ছাত্রদের মধ্যে ঝামেলার জেরে পুলিশ ঢোকা নিয়ে অশান্তির সূচনা হয়। এর মাঝে আবার ১২ সেপ্টেম্বর রাতে ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানের উপরে চড়াও হয় বহিরাগত দুষ্কৃতীরা। তাতে পরিস্থিতি আরও অশান্ত হয়ে ওঠে। ঘেরাও হন উপাচার্য। নিষ্কৃতি পেতে ছাত্রছাত্রীদের জাবি মতো দুই ডিনকে সরানোর আশ্বাস দিলেও পরের দিনই তিনি হস্টেল খালির নির্দেশ জারি করেন। আর সে দিনই গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি করানো হয়।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এসে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর হস্তক্ষেপে রাতেই হস্টেল খুলে দেওয়া হয়। আন্দোলনকারী ছাত্রদের তরফে মৃত্যুঞ্জয় সাটিয়ার এখনও হস্টেলেই রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘আসলে দাবি তো কিছুই মানা হয়নি। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে পদ থেকে সরানোর দাবি আমরা বলেছিলাম, সেই বিষয়টি তো দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্যে চলে গেল। কর্মসমিতির বৈঠক না হওয়া পর্যন্ত কিছুই হবে না।’’ আন্দোলনের প্রথম সারির এক নেতার আক্ষেপ, ‘‘আমরা যে দুষ্কৃতী হামলা প্রসঙ্গে টিএমসিপি নেতা রাকেশ পাড়ুইয়ের নাম দিয়ে অভিযোগ করার দাবি তুলেছিলাম, তা-ও তো হল না। এর জন্য তো আর কর্মসমিতির বৈঠক ডাকার দরকার হত না। তাই এ সব তদন্ত বা বৈঠকের উপর আমাদের আস্থা নেই।’’ ওই ছাত্রনেতাদের একাংশের দাবি, মার খাওয়া ছাত্রছাত্রীরা অনেকেই ক্ষোভে ফুঁসছেন। অনেকেই বাড়ি থেকে ফোন করে জানাচ্ছেন, তাঁরা ফিরলেই যেন আন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখা চূড়ান্ত করা হয়।

উপাচার্য এখন কোথায় আছেন বা কেমন আছেন সে বিষয়ে তাঁর কাছে নির্দিষ্ট তথ্য নেই দাবি করে অস্থায়ী রেজিস্ট্রার বলেন, ‘‘কর্মসমিতির বৈঠক আমি ডাকতে পারি না। এ ব্যাপারে যা করার উপাচার্যই করবেন। তবে আমার আশা, অনেক পড়ুয়াই ফিরে এসে ক্লাসে যাবেন।’’ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রের খবর, উপাচার্য আপাতত ভাল আছেন। তাঁকে দু’দিনের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। আপাতত তাঁর কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য এগ্রিকালচার ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন জে পি গুপ্তকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আমি সাধারণ দৈনন্দিন কাজকর্মগুলো সম্পন্ন করব। আন্দোলনকারীদের দাবি-দাওয়া নীতিগত ব্যাপারে। সে ব্যাপারে আমি কিছুই বলতে বা করতে পারব না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE