চৌরঙ্গিতে রাস্তার ডিভাইডারে লাগানো হয়েছে গাছ। —নিজস্ব চিত্র।
সৌন্দর্যায়নে চৌরঙ্গিতে দুই রাস্তার ডিভাইডারে লাগানো হয়েছে গাছ। এ বার রেলশহরের ওটি রোড সাজাতেও লাগানো হবে গাছ।
খড়্গপুর আইআইটির সমাবর্তনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার জেলায় এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খড়্গপুর ছাড়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী ফোন করে শহরকে আরও ভাল করে দেখার বার্তা দিয়েছেন বলেও দাবি পুরপ্রধান প্রদীপ সরকারের। তাই চৌরঙ্গির মতো একইভাবে পুরো শহরকে সাজানোর পরিকল্পনা করছে পুরসভা। পুরপ্রধান বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আসবেন বলে চৌরঙ্গির কাছে বিশেষ গাছ লাগানো হয়েছিল। শহরবাসীর প্রশংসা পেয়েছি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘শুক্রবার আইআইটি-র অনুষ্ঠানে থাকলেও মঞ্চে যেতে পারিনি। অনুষ্ঠান থেকে বেরনোর পরে মুখ্যমন্ত্রী ফোন করে শহরকে ভাল করে দেখে রাখার বার্তা দিয়েছেন। ওটি রোডের সৌন্দর্যায়নেও এমন বিশেষ গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
পুরসভার দাবি, চৌরঙ্গি থেকে ইন্দা পর্যন্ত ওটি রোড সাজিয়ে তুলতে আগেই পুরমন্ত্রীর কাছে প্রকল্প জমা দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রকল্পেই ওই রাস্তায় পথবাতির জন্য অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। গ্রিন সিটি প্রকল্পে ওটি রোডের সৌন্দর্যায়নে আগেই জোর দিয়েছিল পুরসভা। ইতিমধ্যেই সে জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়ার দিকে এগিয়েছে পুরসভা। প্রাথমিকভাবে চৌরঙ্গি থেকে ইন্দা মোড় পর্যন্ত ওই বিশেষ গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। পরে শহরের ঝাপেটাপুর, মালঞ্চ এলাকার রাস্তাতেও সবুজায়নের পরিকল্পনা রয়েছে বলে দাবি পুরসভার। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্রুত ওটি রোডের সম্প্রসারণের কাজে নামতে চলেছে পূর্ত দফতর। আপাতত সবুজায়নের কাজ হবে। শহরের বাসিন্দা প্রকাশ বালা বলেন, “মেদিনীপুরের তুলনায় আমাদের শহরে মুখ্যমন্ত্রী কম আসেন। তাই মেদিনীপুর গত কয়েক বছরে অনেক বদলেছে। এটা ঠিক মুখ্যমন্ত্রী আসলে স্থানীয় প্রশাসন কিছু কাজ করে। রেলশহর সাজাতে পুরসভা সবুজায়নে উদ্যোগী হয়েছে জেনে খুশি হলাম।” এ নিয়ে পুরপ্রধান বলেন, “চৌরঙ্গি থেকে ইন্দার প্রবেশপথ ওটি রোড সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা আগেই করেছি। পুরমন্ত্রীর কাছে ব্যয় বরাদ্দও চাওয়া হয়েছে। গ্রিন সিটি প্রকল্পেও শহরে কিছু কাজ হবে। খরিদা-মালঞ্চ রোডে ফুটপাতও তৈরি হচ্ছে। সর্বত্র সবুজায়নে জোর দেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy