ফাইল চিত্র
দু’বছর আগের বিধানসভা ভোটের মতো আগামী লোকসভা নির্বাচনেও কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা করে লড়াইয়ের পক্ষপাতী বঙ্গ সিপিএমের বড় অংশ। দলের রাজ্য কমিটিতে প্রাথমিক আলোচনায় এই মতই উঠে এল। কংগ্রেস সঙ্গে থাকলে রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে কতগুলিতে ভাল লড়াই দেওয়া সম্ভব, তার একটা অগ্রাধিকার তালিকা তৈরি করবে আলিমুদ্দিন। সেই রিপোর্ট নিয়ে যাওয়া হবে অক্টোবরে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে। তার আগে সেপ্টেম্বরে পলিটব্যুরো বৈঠকে সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসুরা রাজ্য কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠের মনোভাবের কথা প্রাথমিক ভাবে জানিয়ে দেবেন বলে সিপিএম সূত্রের খবর। বিজেপি ও তৃণমূলের মোকাবিলায় গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ঐক্যের কথাই বলবে সিপিএম। যে মোড়কে থাকবে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার কথা।
আলিমুদ্দিনে বুধবার সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকে জেলাগুলির দিক থেকে প্রায় পুরনো মতই ফের উঠে এসেছে। তবে বিধানসভা ভোটের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে কিছু নেতা বলেছেন, এ বার কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা হলে আনুষ্ঠানিক ভাবেই আসন ভাগাভাগি এবং যৌথ প্রচার হওয়া উচিত। আগের বার ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ কৌশল নিতে গিয়ে লাভের চেয়ে ক্ষতি হয়েছে বেশি। লোকসভায় সংখ্যালঘু ভোট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে এবং সেই নিরিখেও কংগ্রেসের অবস্থান বিবেচনায় রাখতে হবে বলে সওয়াল করেছেন তাঁরা। তিনটি জেলার প্রতিনিধি-সহ কয়েক জন নেতা অবশ্য আগের মতোই কংগ্রেসের হাত ধরার বিরোধিতা করেছেন। তাঁদের মত, বামপন্থী ঐক্যই ভাল ও নিরাপদ। দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে জবাবি ভাষণে ইয়েচুরি ব্যাখ্যা করেছেন, নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের জমানায় গণতান্ত্রিক অধিকার এবং সাধারণ নাগরিকের স্বাধীনতা বিপন্ন। অর্থনীতি বেহাল। শুধু ভুয়ো প্রতিশ্রুতির বন্যা বইছে। লোকসভা নির্বাচনে এই স্বৈরাচারী শক্তিকে পরাস্ত করার জন্য গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপানোর কথাই বলেছেন ইয়েচুরি। রাজ্য সম্পাদক সূর্যবাবু জোর দিয়েছেন ভোটের আগে ভাঙা সংগঠনকে চাঙ্গা করার উপরে। সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্য জু়ড়ে বিপিএমও-র ‘অধিকার যাত্রা’য় দলের শাখা স্তর থেকে সকলের যোগদানের আহ্বান জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy