সদ্যোজাতের সঙ্গে রূপালী। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন চলছে। আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু কলকাতার এনআরএস। মেদিনীপুর মেডিক্যালেও সেই আন্দোলনের ঢেউ পৌঁছেছে। এমনই এক পরিস্থিতিতে মেদিনীপুর মেডিক্যালে এক মায়ের কোল জুড়ে এসেছে এক শিশুপুত্র। আন্দোলনের আবহে জন্ম। তাই সদ্যোজাতের নাম রাখা হল ‘আন্দোলন’।
সুনামি হোক বা যে কোনও বড়সড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের নামের সঙ্গে মিলিয়ে সদ্যোজাতের নামকরণের প্রবণতা নতুন নয়। এ ক্ষেত্রেও সদ্যোজাতের নামে বিশেষ এই সময়টাই ধরে রাখলেন তার পরিজনেরা। তাঁরা জানিয়েছেন, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের মধ্যেও ‘মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব’-এর পরিষেবা এতটুকু ব্যাহত হয়নি। নবজাতকের নাম আন্দোলন রাখা হয়েছে জেনে মেদিনীপুর মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘নামটা বেশ ভালই।’’
মেদিনীপুর মেডিক্যালে জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি শুরু হয়েছে গত ১০ জুন থেকে। ওই দিনই প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয় রূপালী ভুঁইয়াকে। বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের আমড়াকুচিতে। সেই রাতেই সিজার করে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি। রূপালীর স্বামী রাজু ভুঁইয়া চাষবাস করেন। আগেও এক পুত্রসন্তান রয়েছে রাজু-রূপালীর। রাজু বলছিলেন, ‘‘শুনেছিলাম, হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন চলছে। এখানে আসব কি না, তা নিয়ে একটা সংশয় ছিল। তবে এখানে এসে ভুল ভেঙেছে। খুব ভালই পরিষেবা মিলেছে। এখানকার ডাক্তারেরা খুব ভাল।’’
রূপালীর মা ছায়া সাঁতরার সংযোজন, ‘‘হাসপাতালে ডাক্তারদের সুরক্ষার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তারেরা আমাদের প্রাণ বাঁচান। ওঁরা মার কেন খাবেন? ন্যায্য দাবিতেই ওঁরা আন্দোলন করছেন।’’ কিন্তু সদ্যোজাতের নাম আন্দোলন কেন? ছায়ার কথায়, ‘‘সময় গড়িয়ে যাবে। তবে নাতির নামকরণের প্রসঙ্গ এলে এই সময়টার কথা মনে পড়বে।’’ মেডিক্যালের এক চিকিৎসক বললেন, ‘‘প্রসূতির পরিবারের সদস্যেরা জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন। ওঁদের কুর্নিশ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy