নাতির দেহ কোলে বিক্ষোভে মানোয়ারা। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল
কোথাও দু’দিনের শিশুর দেহ নিয়ে ধর্নায় বসলেন পরিজনেরা, কোথাও চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যুর অভিযোগে চিকিৎসক-নার্সদের উপরে চড়াও হলেন মৃতের বাড়ির লোক। শনিবার এই দুই দৃশ্য দেখা গেল দুই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
মেদিনীপুর মেডিক্যালে অবস্থান-বিক্ষোভ চলছিল জুনিয়র ডাক্তারদের। বেলা সওয়া ১১টা নাগাদ তাঁদের সামনে মাটিতে একরত্তি শিশুর দেহ নামিয়ে রেখে বছর পঞ্চান্নর মানোয়ারা বেগম প্রশ্ন তোলেন, ‘‘তোমরা জীবন দিতে না নিতে বসেছ?’’ বৃহস্পতিবার জন্মেছিল তাঁর নাতি। এ দিন মারা গিয়েছে। শিশুটির বাবা শেখ মনিরুল বলেন, ‘‘হাসপাতালে আমার বাচ্চার চিকিৎসাই হয়নি।’’ অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট সময়ের আগে ৩২ সপ্তাহে জন্মেছিল। ওজন কম ছিল, শ্বাসকষ্ট ছিল। বাঁচানোর সব চেষ্টা হয়েছে।’’ এই শিশুর চিকিৎসায় জুনিয়র ডাক্তারদের যে কোনও ভূমিকা ছিল না। পরিজনেরা কোনও যুক্তিই না-মেনে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
অন্য দিকে, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে এ দিন দুপুরে মারা যান বহরমপুরের ন-পাড়ার বাসিন্দা চাঁদনিহারা বিবি (৪৫)। তার পরেই মহিলা মেডিসিন বিভাগে ঢুকে চাঁদনিহারার পরিজনেরা চিকিৎসক বিকাশ সরকার ও নার্সদের উপরে চড়াও হন বলে অভিযোগ। রোষের মুখে পড়েন আয়ারাও। অবস্থানস্থল থেকে পৌঁছন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারেরা। সকাল ১১টায় শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হন চাঁদনিহারা। পরিজনেদের অভিযোগ, তাঁকে অক্সিজেন না-দিয়ে বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয়েছিল। সাড়ে ১২টা নাগাদ চাঁদনিহারার মৃত্যুর পরে শুরু হয় গোলমাল। হাসপাতাল দেহের ময়নাতদন্ত করাতে চাইলেও পরিজনেরা রাজি হননি। পুলিশ পরিস্থিতি সামলায়।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy