Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
GeoTagging

আবাস যোজনায় জিও ট্যাগিংয়ে এক নম্বরে বঙ্গ

বাংলা আবাস যোজনাতেও ‘জিও ট্যাগিং’-এর বহুল ব্যবহার রয়েছে। আর এ ক্ষেত্রে দেশকে পথ দেখাচ্ছে বঙ্গ। যা নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ কেন্দ্রীয় সরকার। 

ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ 
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২০ ০৪:১৯
Share: Save:

সরকারি প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি, গতিপ্রকৃতি যাচাইয়ে ব্যবহার হচ্ছে ‘জিও ট্যাগিং’। ডিজিটাল ট্যাগ-এর মাধ্যমে ছবির ভৌগোলিক অবস্থান বোঝানোর প্রযুক্তিকে বলা হয় ‘জিও ট্যাগিং’। তেমন ভাবে বাংলা আবাস যোজনাতেও ‘জিও ট্যাগিং’-এর বহুল ব্যবহার রয়েছে। আর এ ক্ষেত্রে দেশকে পথ দেখাচ্ছে বঙ্গ। যা নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ কেন্দ্রীয় সরকার।

শুক্রবার ছিল কেন্দ্রীয় অনুমোদন ও নজরদারি কমিটির বৈঠক। কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে সেখানে ছিলেন বিভিন্ন রাজ্যের এই প্রকল্পের অধিকর্তা, যুগ্ম অধিকর্তা ছিলেন। কয়েকটি রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতরের সচিবরাও হাজির ছিলেন। সেখানে এই প্রকল্পে বঙ্গের কাজ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব দুর্গাশঙ্কর মিশ্র বললেন, ‘‘ধারাবাহিক ভাবে ভাল কাজ হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে।’’

প্রকল্পের পর্যালোচনা আর প্রস্তাবিত কাজের ছাড়পত্র দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় অনুমোদন নজরদারি কমিটির বৈঠকে। শুক্রবারও তেমনই হয়। সেখানে ৪৬টি পুরসভায় ৪৫ হাজার বাড়ি তৈরির জন্য নতুন অনুমোদন চান বৈঠকে থাকা এ রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। তার অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। এই রাজ্যে কেন্দ্রীয় এই মিশনটি রূপায়ণের দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অধীনে থাকা রাজ্য নগর উন্নয়ন সংস্থা। এই প্রকল্পে জায়গা বাছাই, ভিত স্থাপন, লিনটেল, ছাদ-সহ পাঁচটি স্তরে বাড়িটি তৈরি হয়। প্রতিটি ধাপের কাজ শেষের পরে ‘জিও ট্যাগিং’ করার পরে পরবর্তী ধাপের টাকা উপভোক্তাকে দেওয়ার জন্য নির্দেশ রয়েছে কেন্দ্রের। আর ১০০ শতাংশ ক্ষেত্রেই ‘জিও ট্যাগিং’-এ যুক্ত করার কথা বলে তারা। বাংলায় সেই কাজ ৯৫ শতাংশ হয়েছে। যা দেশে সবচেয়ে বেশি। তাই স্বাভাবিক ভাবে এ ক্ষেত্রে বঙ্গই দেশের মধ্যে এক নম্বর স্থানে রয়েছে। তার সঙ্গে অনুমোদন প্রকল্পে ৯২ শতাংশ ব্যয় বরাদ্দের শংসাপত্র (ইউসি) জমা পড়েছে কেন্দ্রের কাছে। যা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় সচিব।

আরও পড়ুন: লকডাউনে ‘ভরসার লোকের’ মাথায় হাত ছিল ‘মালিকের’

আরও পড়ুন: হাসপাতাল নয়, মন্দির চান দিলীপ

২০১৫-১৬ থেকে ২০১৯-২০ সাল পর্যন্ত বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে (কেন্দ্রীয় সরকারের খাতায় তা সকলের জন্য বাড়ি মিশন বা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নামে পরিচিত) রাজ্যে ৩.৮৬ লক্ষ বাড়ি তৈরির অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্র। যাচাইয়ের পরে দেখা যায়, সাড়ে তিন লক্ষের মতো বাড়ি করা যাবে। তার মধ্যে ২.৩১ লক্ষ বাড়ির কাজ শুরু ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। আর ৩.৮৬ লক্ষ অনুমোদনের সাপেক্ষে ৩২ শতাংশ বাড়ি ব্যবহার করতে শুরু করেছেন উপভোক্তারা। এই পরিসংখ্যানে দেশের প্রথম পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে অন্যতম নাম পশ্চিমবঙ্গ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

GeoTagging
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE