বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে গেলেই হামলার শিকার হচ্ছিলেন বিরোধীরা। এমন অভিযোগ পেয়ে এসডিও এবং ডিএম অফিসে মনোনয়ন নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার রাজ্যের একাধিক স্থানে এসডিও অফিসেও বিরোধীদের উপর হামলা চলল। বাদ গেল না জেলাশাসকের অফিসও।
বাঁকুড়ায় জেলাশাসকের অফিসের সামনেই বিজেপির এক রাজ্য নেতার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। মারধরও চলে বেপরোয়া। বর্ধমান মহকুমা অফিস থেকেও বিজেপি প্রার্থীদের ‘ঘাড় ধরে’ বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মারধর হয়েছে রঘুনাথগঞ্জেও। এর পরেই বিরোধীরা দাবি করেছেন, যদি এসডিও-ডিএম অফিসেও পুলিশি নিরাপত্তা পাওয়া না যায়, তা হলে একমাত্র অনলাইনেই মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। সুপ্রিম কোর্টে এই মর্মে মামলাও দায়ের হয়েছে।
এ দিন বিজেপি-তৃণমূলের সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে মালবাজার। সেখানে বিজেপির দফতর ভাঙচুর এবং সিপিএমের কার্যালয়ে ঢুকে তৃণমূল হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয়। বৃহস্পতিবারের পরে এ দিনও বীরভূমের নলহাটি উত্তপ্ত হল। মনোনয়নে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে বিজেপির অভিযোগ। যদিও বিজেপি কর্মীরা পুলিশের উপর চড়াও হয়েছিল বলে পাল্টা পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে। পরে সেখানে বিজেপি কার্যালয় থেকে কৌটো বোমা, ব্যাগভর্তি ইটের টুকরো উদ্ধার হয় বলে পুলিশের দাবি।
পশ্চিম মেদিনীপুরের বিডিও অফিস ও থানার সামনেই তৃণমূল-বিজেপির তুমুল ইটবৃষ্টিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা। ওই ঘটনায় ১৫ জন আহত। বৃহস্পতিবার রাতে দাসপুরে প্রচারের সময় বিজেপি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষের ছেলের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ।
এমন সন্ত্রাসের আবহে বিরোধীদের দাবি, প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে যে ভাবে বারবার শাসক দলের বিরুদ্ধে নিজের অস্তিত্ব প্রমাণ করেছিলেন, তা অন্তত বর্তমান কমিশন করে দেখাক।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধীরা বারবার সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলছে শুনে পার্থবাবু বলেন, ‘‘এ সব মিথ্যে। প্রশাসন প্রশাসনের কাজ করছে। কারা বর্শা, তরোয়াল নিয়ে গোলমাল করছে, সব নজরে রয়েছে।’’
কিন্তু পার্থবাবু বিরোধীদের উপর দায় চাপানোর চেষ্টা করলেও দিনভর একের পর এক জেলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধেই গোলমালের অভিযোগ উঠেছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে বিডিও অফিস চত্বরে তৃণমূলের হামলায় সিপিএম ও বিজেপির কর্মীরা আহত হন বলে অভিযোগ। পরে পাল্টা হামলায় তৃণমূলের এক কর্মীও জখম বলে অভিযোগ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সিপিএম কর্মীর অবস্থা সঙ্কটজনক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy