প্রতীকী ছবি।
ভোটের নিরাপত্তায় বাহিনী সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে ধোঁয়াশা কাটল না এখনও। বাইরের রাজ্যের মধ্যে একমাত্র সিকিম এখনও পর্যন্ত কয়েক কোম্পানি পুলিশ পাঠানোর ব্যাপারে কথা দিয়েছে বলে পুলিশ মহলের খবর। এরই মধ্যে ১৪ মে ভোট হচ্ছে ধরে নিয়ে পুলিশ সুপারদের চূড়ান্ত ভোট-প্রস্তুতির নির্দেশ দিল নবান্ন। বুধবার পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ, এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) অনুজ শর্মা-সহ পুলিশকর্তারা। যে সব এলাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা জিতে গিয়েছেন, সেখান থেকে কেউ যাতে ভোট-এলাকায় ঢুকে গোলমাল বাধাতে না পারে, সেই ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে সুপারদের।
সূত্রের দাবি, এ দিনের বৈঠকে পুলিশ সুপারদের চাহিদা সম্পর্কে জানতে চেয়েছে নবান্ন। বুথপিছু এক জন করে বন্দুকধারী এবং লাঠিধারী পুলিশ নিরাপত্তার কাজে লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে। যে হেতু একেকটি ভোট কেন্দ্রে একাধিক বুথ থাকবে, তাই ভোটকেন্দ্রগুলিতে সশস্ত্র পুলিশের সংখ্যা কম হবে না বলে মনে করছেন পুলিশকর্তারা। বুথের বাইরে ভ্রাম্যমাণ নজরদারি বাহিনী, নাকা-সহ ভোট-নিরাপত্তার একাধিক ব্যবস্থা রাখা হবে। কিন্তু কোন ব্যবস্থায় কত সংখ্যক পুলিশকর্মী ব্যবহার করা হবে, তা এদিনও স্পষ্ট হয়নি। পুলিশ মহলের অনেকের মতে, পুলিশকর্মীর সংখ্যা চূড়ান্ত হলে মোতায়েনের চিত্র স্পষ্ট হবে। সিকিম-সহ প্রতিবেশী কয়েকটি রাজ্যের পুলিশ শেষ পর্যন্ত এলেও তাঁদের এলাকায় এলাকায় পাঠানো, দায়িত্ব বোঝানো-সহ একাধিক কাজ অল্প সময়ে কীভাবে হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। যদিও ১৩ মে পুলিশ মোতায়েন করতে বলা হয়েছে পুলিশ সুপারদের।
সূত্রের খবর, বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারে তৎপর হওয়ার নির্দেশ পুলিশ সুপারদের দিয়েছে নবান্ন। বহিরাগতদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে জেলা এবং ভিন্ রাজ্যের সীমানাবর্তী এলাকায় বাড়তি নজরদারি করতে বলা হয়েছে। অতীতের ভোটে যে সব এলাকায় গোলমাল হয়েছে, তাতে বাড়তি নজর রাখতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy