এই মুহূর্তে ২০টা জেলা পরিষদ দখলের লড়াই চলছে। ২০১৩ সালে, আগের পঞ্চায়েত ভোটের সময়, রাজ্যে জেলার সংখ্যা ছিল ১৭। তার পরে তিনটে জেলা, জলপাইগুড়ি-বর্ধমান-পশ্চিম মেদিনীপুর, ভেঙে ছ’টা জেলা হয়েছে।
২০১৮তে যখন পঞ্চায়েত ভোট হচ্ছে, তখন সবকটা জেলা পরিষদ তৃণমূলের দখলে। গ্রাম বাংলার মানুষের রায় কিন্তু তা ছিল না। সেই ভোটের ফলাফলে— ১৭টা জেলা পরিষদের মধ্যে ৪টে গিয়েছিল বিরোধীদের দখলে। জলপাইগুড়ি আর উত্তর দিনাজপুর দখল করেছিল বামফ্রন্ট। মালদহ আর মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস। বাকি ১৩টাতে জিতেছিল তৃণমূল। কিন্তু পরবর্তীতে, দলবদলের স্রোতে, বিরোধীদের দখলে থাকা চার জেলা পরিষদই দখল করে নিয়েছিল শাসকদল।
গত পঞ্চায়েত ভোটে গোটা রাজ্যে ৮২৫টা জেলা পরিষদ আসনের মধ্যে ৫৩১টা জিতেছিল তৃণমূল (৬৪.৫ শতাংশ আসন)। ২১২টায় জিতেছিল বামফ্রন্ট (২৫.৭ শতাংশ আসন)। কংগ্রেস ৭৭টা (৯.৩ শতাংশ)। অন্যান্যরা জিতেছিল ৪টে আসনে। একটা আসনে (দক্ষিণ দিনাজপুরের) ভোট হয়নি। বিজেপি রাজ্যের কোথাও কোনও জেলা পরিষদ আসনে জিততে পারেনি গত পঞ্চায়েত ভোটে।
গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে রাজ্যে মোট যে ভোট পড়েছিল, তার ৪৩.৮ শতাংশ পেয়েছিল তৃণমূল; বামেরা ৩৮.২ শতাংশ; কংগ্রেস ১৩ শতাংশ। বিজেপি পেয়েছিল ৩.২ শতাংশ ভোট।
নীচে ২০১৩ সালের জেলা পরিষদ ভোটের আসনভিত্তিক ফলাফল দেওয়া হল। যে তিনটে জেলা ভেঙে গিয়েছে, সে ক্ষেত্রে নতুন জেলা এলাকার মধ্যে গতবারের যে ফলাফল ছিল তা দেওয়া হয়েছে।
এ বার দেখে নিন রাজ্য জুড়ে কে কত জেলা পরিষদের আসন জিতেছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy