Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

গ্রাম পঞ্চায়েতেও ১১ হাজার বাড়তি প্রার্থী তৃণমূলের

গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ—তিনটি ক্ষেত্রেই মোট আসনের থেকে বেশি মনোনয়ন জমা দিয়েছে তৃণমূল। তার মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতে অন্তত ১১ হাজার বাড়তি প্রার্থী আছে তাদের। পঞ্চায়েত সমিতিতে তিন হাজারের কাছাকাছি আর জেলা পরিষদে প্রায় আ়ড়াইশো অতিরিক্ত মনোনয়ন জমা পড়েছে শাসক দলের তরফে।

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ
শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৮ ০৪:৪৮
Share: Save:

বিরোধীরা নয়! বাড়তি মনোনয়ন আর নির্দল প্রার্থী। এই জোড়া ফলার মোকাবিলায় চিন্তিত শাসক শিবির।

গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ—তিনটি ক্ষেত্রেই মোট আসনের থেকে বেশি মনোনয়ন জমা দিয়েছে তৃণমূল। তার মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতে অন্তত ১১ হাজার বাড়তি প্রার্থী আছে তাদের। পঞ্চায়েত সমিতিতে তিন হাজারের কাছাকাছি আর জেলা পরিষদে প্রায় আ়ড়াইশো অতিরিক্ত মনোনয়ন জমা পড়েছে শাসক দলের তরফে।

রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গ্রাম পঞ্চায়েতে ৪৮,৬৫০ আসনে ৫৯,৪৭৫টি মনোনয়ন জমা দিয়েছে তৃণমূল। পঞ্চায়েত সমিতিতে ৯,২১৭টি আসনে তৃণমূলের মনোনয়ন জমা পড়েছে ১২,৩৪৩টি। জেলা পরিষদে ৮২৫টি আসনের জন্য ১০৬৬টি মনোনয়ন জমা দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। পাশাপাশি গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০,২৭২টি নির্দল প্রার্থীর মনোনয়ন জমা পড়েছে। পঞ্চায়েত সমিতিতে ১,৫৩৮ এবং জেলা পরিষদে ১৫০ মনোনয়ন জমা দিয়েছেন নির্দলেরা। তবে চূড়ান্ত তালিকায় এই সংখ্যায় সামান্য হেরফের হতে পারে বলে মত কমিশনের।

আসন পিছু একাধিক দাবিদারই নয়। অতিরিক্ত মনোনয়ন জমা দেওয়ার পিছনে তৃণমূলের কৌশলও ছিল। তৃণমূলের বিক্ষুব্ধদের ব্যবহার করে প্রার্থী করার ভাবনা ছিল বিজেপি’র। গেরুয়া শিবিরের পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়ে দলকে ধরে রাখতেই বাড়তি মনোনয়ন দিয়েছে তৃণমূল। আর এখন সেই কৌশলই মাথাব্যথা বাড়িয়েছে শাসক দলের নেতৃত্বের। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত অংশের মনোনয়ন প্রত্যাহার নিয়ে ইতিমধ্যে প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। আজ, বুধবার মনোনয়নপত্র পরীক্ষা হওয়ার কথা। সেখানে কিছু ভুলভ্রান্তি থাকায় কিছু মনোনয়নপত্র বাদ যেতে পারে বলে আশা করছেন শাসক দলের নেতৃত্ব।

পাশাপাশি, অন্য বছরের তুলনায় নির্দল প্রার্থীর সংখ্যা অনেকটাই বেশি। আর তাঁদের মধ্যে শাসকদলের নেতা-কর্মীর সংখ্যা বেশি বলে খবর। কারণ, দলের প্রার্থীকে মেনে নিতে না পেরে সেখানে পাল্টা প্রার্থী হয়েছে তৃণমূলেরই ‘বিক্ষুব্ধ’রা।

ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে দক্ষিণবঙ্গের একটি অংশে ‘ওভারবাউন্ডারি’ মেরে বিরোধীদের মাঠের বাইরে ফেলেছে তৃণমূল। কিন্তু অতিরিক্ত প্রার্থী এবং নির্দল—এই জোড়া ফলায় পা কাটবে কি না তা নিয়ে উদ্বিগ্ন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের আশঙ্কা বিরোধীরা না থাকলেও এই অতিরিক্ত এবং নির্দল প্রার্থীদের কারণে গোলমাল বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও চিন্তিত তৃণমূল নেতৃত্ব। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে সমস্যায় পড়তে হয় পুলিশকেও। তাই ভোটের ময়দান থেকে বিরোধীদের দূরে রাখতে তৎপর হলেও দলের অভ্যন্তরীণ লড়াইয়েই ঘুম ছুটেছে তৃণমূলের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE