বালুরঘাট থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ বিজেপির। —নিজস্ব চিত্র
রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রচারের অভিযোগে ছয় সিভিক ভলান্টিয়ারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বিজেপি দাবি করেছে, দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট থানার ওই সিভিক ভলান্টিয়ারদের পরিবারের কেউ কেউ কংগ্রেস ও বিজেপির হয়ে পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়িয়েছেন বলেই পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে ‘শাস্তিমূলক ব্যবস্থা’ নিয়েছে। রবিবার বিজেপি প্রায় দু’ঘণ্টা বালুরঘাট থানা ঘেরাও করেও রাখে। তবে তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক প্রবীর রায়ের দাবি, ‘‘ওই ছ’জন আমাদেরই সমর্থক। কিন্তু কর্তব্যরত অবস্থায় রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করলে, শাস্তি হওয়াই উচিত।’’ পুলিশেরও দাবি তাই। বালুরঘাট থানার আইসি সঞ্জয় ঘোষ বলেন, ‘‘পুলিশকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে। ওই ছ’জন রাজনৈতিক দলের প্রচারে যোগ দিয়েছেন বলেই তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে।’’
তবে বিজেপির বক্তব্য, ওই ছ’জন মোটেই শাসক দলের সমর্থক নন। জেলা বিজেপি সভাপতি শুভেন্দু সরকারের দাবি, ‘‘ওই ছ’জনের পরিবারের কেউ কেউ কংগ্রেস ও বিজেপির হয়ে পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়িয়েছেন। তাই তাঁদের কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল।’’ সেই সঙ্গেই তাঁর দাবি, ‘‘জেলার বোল্লা এলাকার দুই সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়ির লোক তৃণমূলের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন। ওই সিভিক ভলান্টিয়াররা সরাসরি প্রচারও করছেন। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’’ আইসি সঞ্জয়বাবুর সে প্রসঙ্গে বক্তব্য, ‘‘বোল্লা থেকে এরকম কোনও খবর আমাদের কাছে নেই। পেলে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেব।’’ বালুরঘাট বা বোল্লার কোনও সিভিক ভলান্টিয়ারই এই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তৃণমূলও জানিয়েছে, কোনও সিভিক ভলান্টিয়ারই তাঁদের হয়ে কাজ করছেন না।
এর আগে জঙ্গলমহলেও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে, এমন সিভিক ভলান্টিয়ারদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছিলেন। অভিযোগ, এ দিন বালুরঘাটে অবরোধের সময় বিজেপি নেতা বাপি সরকার হুমকি দিয়েছেন, ‘‘সব কিছু আমরা মনে রাখব। ক্ষমতায় এসে ব্যবস্থা নেব।’’ যা শুনে তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের বক্তব্য, ‘‘বিজেপি চাইছে অকারণে গন্ডগোল পাকাতে। আমরা চাইছি নিরপেক্ষ থাকতে। প্রশাসনকে বলেছি, কোনও প্ররোচনায় যেন পা না দেয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy