Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

পঞ্চায়েত ভোট ঘোষিত সূচি মেনে হবে কি? আজ যুদ্ধ আদালতে

আদালতের নির্দেশ ছিল, পঞ্চায়েত ভোটের যাবতীয় প্রক্রিয়া আজ পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে। সেই নির্দেশের বিজ্ঞপ্তি রাজ্য নির্বাচন কমিশন জেলা স্তরে পাঠানোর ফাঁকেই কয়েক দিনে কিছু মনোনয়ন প্রত্যাহার হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:৫২
Share: Save:

দু’দিন বিরতির পরে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে আবার নজর ঘুরে যাচ্ছে আদালতের দিকে। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আজ, সোমবার পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত মামলার শুনানি শুরু হওয়ার কথা। শেষ পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোট ঘোষিত সূচি মেনে হবে কি না, তা আজ অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সব মহলের ধারণা।

আদালতের নির্দেশ ছিল, পঞ্চায়েত ভোটের যাবতীয় প্রক্রিয়া আজ পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে। সেই নির্দেশের বিজ্ঞপ্তি রাজ্য নির্বাচন কমিশন জেলা স্তরে পাঠানোর ফাঁকেই কয়েক দিনে কিছু মনোনয়ন প্রত্যাহার হয়েছে। কিন্তু তা আদৌ বৈধ কি না, তা নিয়ে দোটানায় আছে কমিশন। মনোনয়ন প্রত্যাহার সংক্রান্ত তথ্য সম্পূর্ণ সংগ্রহও করেনি তারা। তাদের নজর আদালতেই। প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার জন্য হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের জারি করা নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। লড়াইয়ের অভিমুখ তাই আজ আদালতেই।

আইনি লড়াই চালানোর পাশাপাশিই রাস্তার আন্দোলন অব্যাহত রাখছে বিরোধী শিবির। কলকাতায় আজ বামেদের মিছিল রয়েছে সুষ্ঠু পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবিতে। বিড়লা তারামণ্ডলের কাছে জওহরলাল নেহরুর মূর্তি থেকে ১৭টি বাম দলের মিছিল যাবে ধর্মতলা পর্যন্ত। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে আজই অনশন কর্মসূচি রয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসের। সেখানে যোগ দেওয়ার কথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর। শাসক দলের পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলছেন, যে কোনও পরিস্থিতিতেই ভোটের জন্য তাঁরা তৈরি।

ভোটের আগে রবিবার নির্বাচন কমিশনে ছুটি বাতিল হওয়াই দস্তুর। কিন্তু ভোটের কাজে নয়, আদালতে কী রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে, তা নিয়েই নববর্ষের দিন ব্যস্ত ছিল কমিশনের দফতর। তাদের নির্দেশিকা পৌঁছনোর আগে কোন জেলায় কত মনোনয়ন প্রত্যাহার হয়ে গিয়েছে, তার স্পষ্ট হিসেব এখনও পর্যন্ত সংগ্রহ করেনি কমিশন। কর্তাদের মতে, মনোনয়ন প্রত্যাহার বৈধ না পুনরায় হবে, তা স্পষ্ট হয়। তাই হাইকোর্ট যে ভাবে বলবে, সে ভাবেই এগোনো হবে।

ভোটকর্মীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে টেক্সট মেসেজকে (এসএমএস) হাতিয়ার করেছে কমিশন। জেলা-ব্লক প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের ক্ষেত্রে এই টেক্সট মেসেজ ব্যবহার করা হবে। সেই সংক্রান্ত প্রশিক্ষণও আপাতত স্থগিত রাখতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। অন্য দিকে, আদালতে প্রয়োজনে জানাতে হতে পারে বলে মনোনয়ন জমা দিতে কোথায় কী ভাবে বাধা পেতে হয়েছে, কত প্রার্থী আগ্রহী ছিলেন, তার হিসেব তৈরি রাখছে বাম ও বিজেপি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE