Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

‘আক্রান্তদের’ নিয়ে দিল্লিতে বিজেপি

দিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় অফিসে এই সব ছবি দেখানোর ফাঁকে ঊর্মিলার অভিযোগ, বাঁকুড়ার রানিবাঁধে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পেশ করতে চেয়েছিলেন স্বামী অজিত। কিন্তু তৃণমূলের ‘লোকেরা’ অজিতকে মেরে ফেলেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৮ ১১:২২
Share: Save:

মঞ্চের পর্দায় ভেসে উঠছে একের পর এক ছবি। ১১ বছরের ছেলেকে নিয়ে সেই ছবি দেখতে দেখতে চোখের জল মুছছেন বছর পঁয়ত্রিশের ঊর্মিলা মুর্মু।

দিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় অফিসে এই সব ছবি দেখানোর ফাঁকে ঊর্মিলার অভিযোগ, বাঁকুড়ার রানিবাঁধে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পেশ করতে চেয়েছিলেন স্বামী অজিত। কিন্তু তৃণমূলের ‘লোকেরা’ অজিতকে মেরে ফেলেছে। পরে পুলিশ এই মৃত্যুকে বিজেপির অন্তর্কলহ বলে চালানোর জন্য তাঁকে চাপ দিয়েছে বলেও অভিযোগ। তার পরেই বাড়িছাড়া ঊর্মিলা। আজ দিল্লিতে গড়গড় করে স্বামীর ‘খুনি’দের নাম জানিয়েছেন তিনি।

পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোটে এমনই জনা তিরিশেক ‘আক্রান্ত’কে আজ দিল্লির রাজপথে হাজির করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কারও হাতে, কারও পায়ে, কারও মাথায় ব্যান্ডেজ। হাতে পোস্টার ‘বিপন্ন গণতন্ত্র’, ‘মমতা হঠাও, বাংলা বাঁচাও’। মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, রাহুল সিংহ, বাবুল সুপ্রিয়, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, স্বপন দাশগুপ্তরা।

আজ সারা দিন এঁদের নিয়ে রাহুলরা হাজির হয়েছিলেন প্রথমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, তার পরে উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু এবং সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে। তারই ফাঁকে ছিল সাংবাদিক বৈঠক। সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির কাছে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে স্মারকলিপি দেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতারা সংখ্যালঘু কমিশনেও যান। বিজেপি প্রতিনিধি দলের একটি সূত্রের দাবি, খুব শিগগিরই রাজ্যে দল পাঠাতে পারে সংখ্যালঘু কমিশন।

বিজেপি নেতৃত্ব জানেন, পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের সুযোগ কম। এটা তাঁদের বুঝিয়েছেন রাজনাথও। তবে একই সঙ্গে রাজনাথের আশ্বাস, সাংবিধানিক পরিধির মধ্যে থেকে যতটা করা সম্ভব, তিনি করবেন। একই কথা তিনি বলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকেও।

রাজনাথের সঙ্গে দেখা করে অধীরের অভিযোগ, রাজ্যে ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, পুলিশ দর্শক। মানা হচ্ছে না হাইকোর্টের নির্দেশ। নির্বাচন কমিশনার শাসকের দলদাস। রাজ্যে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক টিম পাঠানোর অনুরোধও করেন অধীর। প্রদেশ সভাপতির দাবি, রাজনাথ তাঁকে বলেছেন ‘‘আমি পাঠালেও রাজ্য সরকার সহযোগিতা করবে না। আমি রিপোর্ট সংগ্রহ করে দেখব, কী করতে পারি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE