অধীর চৌধুরী
পাঁচ দিন আগেই বাংলার পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন ঘিরে হিংসার অভিযোগ রাহুল গাঁধীর কাছে তুলে ধরেছিলেন অধীর চৌধুরী। দেখিয়েছিলেন, কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা কী ভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির কাছে রাহুল সে দিনই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। দিল্লির রামলীলা ময়দান থেকে রবিবার বাংলার কর্মীদের জন্য প্রকাশ্যেই বার্তা দিলেন কংগ্রেস সভাপতি।
বাংলা-সহ যে সব রাজ্যে কংগ্রেস কর্মীরা মার খাচ্ছেন, প্রাণ হারাচ্ছেন, সে সব ঘটনা তুলে ধরেন রাহুল। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেসের কর্মীরা বাঘের বাচ্চা! সত্যের সৈনিক। রোজ ঘাম-রক্ত ঝরান। এঁদের মারধর করলে, পা ভেঙে দিলে, গুলি করলেও এঁরা সত্যকে ছাড়বেন না। বাংলা, কেরল, পঞ্জাব, হরিয়ানা— সব রাজ্যে কংগ্রেস কর্মীরা নিজেদের প্রাণ দিয়েছেন। কীসের জন্য প্রাণ দিয়েছেন? সত্যের জন্য, ক্ষমতার জন্য নয়। কর্মীদের আমি বলতে চাই, কংগ্রেস আপনাদের দল। আপনাদের ঘাম-রক্তের দল।’’
কংগ্রেস সভাপতির এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে অধীরবাবু বলেন, ‘‘রাহুল আসলে দলঅন্ত প্রাণ। নিজের দলকে কী করে শক্তিশালী করা যায়, সেটাই তাঁর লক্ষ্য। সে দিন বাংলার পঞ্চায়েত ভোটের হিংসার কথা বলতে গিয়ে তিনি আমাকে যা বলেছিলেন, আজ রামলীলায় সে কথারই প্রতিফলন ঘটেছে।’’ বাংলায় গণতন্ত্রের ‘হত্যা‘ ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদে আগামী ৭ মে বহরমপুরে গাঁধীমূর্তির পাদদেশে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের নিয়ে ২৪ ঘণ্টার অনশন কর্মসূচি নিয়েছেন অধীরবাবু।
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য রাহুলের মন্তব্যকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাননি। তাঁর কথায়, ‘‘সনিয়া গাঁধী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পরামর্শ করেন। আর দলকে চাঙ্গা রাখার জন্য রাহুল গাঁধী মাঠে-ময়দানে এ সব বলেন!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy