—ফাইল চিত্র।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি পর্বে তিন দিনের সফরে ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন স্তরে বৈঠক করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তার কয়েক দিনের মধ্যেই সপার্ষদ দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও) আরিজ আফতাব। চলতি সপ্তাহে সেখানে তাঁদের দু’দিনের প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা।
এ বারের ভোটে তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি)-র ব্যবহারকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে কমিশন। সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে ভোট-ময়দানে ঝড় তুলতে পারে রাজনৈতিক দলগুলি। সে-ক্ষেত্রে যাতে সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার না-হয়, সেই জন্য কড়া হাতে রাশ ধরতে চায় কমিশন। ভোট সংক্রান্ত বিষয়ে আমজনতার অভাব-অভিযোগের ক্ষেত্রেও তথ্যপ্রযুক্তিকে হাতিয়ার করতে চলেছে তারা। তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে কোথায় কী কী পদক্ষেপ করা হবে, তা নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের সিইও দফতরের কর্তাদের হাতেকলমে বোঝাতে চাইছে কমিশন। সেই প্রশিক্ষণের জন্যই বুধবার দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যের সিইও আরিজ এবং অন্য পদস্থ অফিসারেরা। বৃহস্পতি ও শুক্রবার দু’দিনের প্রশিক্ষণ রয়েছে তাঁদের। সেখানেই ভোটে তথ্যপ্রযুক্তির নানান ব্যবহারের বিষয়টি বুঝে নেবেন রাজ্যের সিইও দফতরের কর্তারা।
ভোটের মুখে রাজ্যের প্রশাসনিক স্তরে কর্তাদের রদবদল শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বদলি হয়েছেন পুরুলিয়া ও পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসকেরা। কয়েকটি ক্ষেত্রে অতিরিক্ত জেলাশাসক পদেও রদবদল হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই রাজ্যের বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার (আরও)। ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ। ওই প্রশিক্ষণের পাশাপাশিই শুরু হয় বদলি পর্ব। নতুন যে-সব জেলাশাসক বা অতিরিক্ত জেলাশাসক রিটার্নিং হচ্ছেন, তাঁদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে চলেছে রাজ্যের সিইও দফতর। ওই দফতরের এক কর্তা জানান, কোনও কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার রদবদলের ফলে অন্য জেলায় বদলি হলে নতুন করে তাঁর প্রশিক্ষণের প্রয়োজন নেই। তবে যাঁরা একেবারে নতুন রিটার্নিং অফিসার হিসেবে কাজে যোগ দিচ্ছেন, তাঁদের জন্য ভোট সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু ক্ষণের একটি ‘ব্রিফিং সেশন’ বা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। বদলি প্রক্রিয়া শেষ হলে শুরু হবে সেই প্রশিক্ষণ পর্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy