ভারতী ঘোষ। ফাইল চিত্র।
এক কালের দুঁদে পুলিশ সুপার হিসেবে জেরায় জেরায় অভিযুক্তদের নাস্তানাবুদ করে দিতেন তিনি। পশ্চিম মেদিনীপুরের সেই প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ এ বার অভিযোগ তুললেন, সিআইডি-র লাগাতার জেরায় তাঁর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট স্বামী মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। তাঁর মনের অবস্থা এমনই যে, চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
ভারতী এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে দাসপুর ও খড়্গপুর লোকাল থানায় মামলা করেছে সিআইডি। সেই সব মামলার সূত্রে ভারতীর স্বামী এমভিএ রাজুকে বারবার ভবানী ভবনে ডেকে জেরা করেন গোয়েন্দারা। দাসপুর থানায় সোনা লুঠ ও প্রতারণার মামলায় রাজুর নেতাজিনগরের বাড়িতে তল্লাশি
অভিযান চালানো হয়। সিআইডি-র সঙ্গে সঙ্গে কলকাতা পুলিশও রাজুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। সেই মামলায় জামিন পেয়েছেন রাজু। ভারতীর কথায়, রাজু একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। সম্প্রতি ইস্তফা দিয়েছেন। রাজু প্রোমোটারিও করতেন। ভারতীর অভিযোগ, সিআইডি তদন্তে নামের পরে সেই ব্যবসাও লাটে উঠেছে। রাজুর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেরার নামে তাঁর উপরে নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। তাতেই রাজু মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন। দিনের পর দিন রাজুকে সকালে ভবানী ভবনে ডেকে বিকেল পর্যন্ত বসিয়ে রাখা হচ্ছে। ভারতী বলেন, ‘‘নানা ধরনের অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করা হচ্ছে আমার স্বামীকে। ওঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে রাজুকে সমাজের চোখে অপরাধী করে তোলা হচ্ছে।’’
মানসিক চাপ সৃষ্টির অভিযোগ অস্বীকার করে এক সিআইডি-কর্তা জানান, মামলার সঙ্গে যোগ আছে বলেই সঙ্গত কারণে রাজুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁর সামাজিক সম্মানহানি করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না তদন্তকারীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy