Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

বন্‌ধ তুলছি না, হুঙ্কার গুরুঙ্গের

কিন্তু সেই বৈঠকে কী হয় তা জানার কৌতূহল তাঁর কিছু কম ছিল না। তাই মঙ্গলবার সকাল ১১টা পর্যন্ত সিকিমের জোড়থাংয়ের কাছে প্রত্যন্ত চা বাগান এলাকায় কাটানোর পরে গাড়ি করে খানিকটা নীচে নেমে আসেন তিনি।

কিশোর সাহা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৭ ০৪:৪৮
Share: Save:

নবান্নের বৈঠকের পরে আধ ঘণ্টাও কাটল না, ফাটল আরও চওড়া হলো মোর্চার অন্দরে।

তাঁকে কিছু না জানিয়েই মোর্চার কয়েক জন নেতা সরকারের সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছেন বলে আগেই অভিযোগ করেছিলেন মোর্চা-প্রধান বিমল গুরুঙ্গ। কিন্তু সেই বৈঠকে কী হয় তা জানার কৌতূহল তাঁর কিছু কম ছিল না। তাই মঙ্গলবার সকাল ১১টা পর্যন্ত সিকিমের জোড়থাংয়ের কাছে প্রত্যন্ত চা বাগান এলাকায় কাটানোর পরে গাড়ি করে খানিকটা নীচে নেমে আসেন তিনি। সেখানে টিভিতে সংবাদ চ্যানেলগুলো দেখা যায়। ইন্টারনেট সংযোগও সহজ হয়। সে সবের সুযোগ নিয়ে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক শেষ হওয়ার মিনিট কুড়ির মধ্যেই বিবৃতি দেন মোর্চা প্রধান বিমল গুরুঙ্গ। জানিয়ে দেন, বৈঠকে যা হয়েছে, তাতে তিনি খুশি নন। বন্‌ধ তোলা হবে না।

এই বার্তায় স্পষ্ট, পাহাড়ে তিনিই যে শেষ কথা, সেটা প্রমাণ করতে মরিয়া গুরুঙ্গ। বস্তুত, নবান্নের বৈঠক প্রসঙ্গে বিনয়দের প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গোর্খাল্যান্ড নিয়ে কথা বলার এক্তিয়ার নেই ওঁর। তা হলে তখনই ওঁরা (মোর্চা প্রতিনিধিরা) ওয়াক আউট করলেন না কেন? ওঁরা যা করেছেন, তাতে আমি খুশি নই। ওঁরা ফিরুন। সব শুনে ঠিক করব। কিন্তু এত লোক মরেছে, এখনই বন্‌ধ তুলব না।’’

বিনয় অবশ্য পাল্টা বলেছেন, ‘‘আমরা বৈঠকে গোর্খাল্যান্ডের দাবি পেশ করেছি। তার পরে কেন ‘ওয়াক আউট’ করব?’’ জানিয়েছেন, এই প্রথম কোনও দল সরকারের সঙ্গে বৈঠকে গোর্খাল্যান্ডের দাবি পেশ করল। গুরুঙ্গকে না জানিয়ে নবান্নে বৈঠক করার অভিযোগ সম্পর্কে বিনয়ের বক্তব্য, ‘‘কেন্দ্রীয় কমিটির যে বৈঠকে কলকাতা যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়, তার পরে সব ওঁকে ফোন করে জানানো হয়েছে। তবু কেন উনি অস্বীকার করছেন, জানি না।’’

আরও পড়ুন: গোর্খাল্যান্ড চেয়েও সুর বেশ নরমই

এর পরেই বিনয়ের কটাক্ষ, যিনি দার্জিলিঙে নেই, তাঁর কথার মূল্য কী! সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘এটা বলতে পারি, গোর্খ্যাল্যান্ডের দাবিতে বহু দিন জেল খেটেছি। আমার হারানোর কিছু নেই।’’

দার্জিলিঙে নেই, তা হলে কোথায় আছেন গুরুঙ্গ? এ দিন সন্ধ্যা থেকেই নেপাল সীমান্ত ও সিকিম লাগোয়া এলাকায় তল্লাশি আরও জোরদার করেছে পুলিশ। সেটা কি গুরুঙ্গের খোঁজে? এক পুলিশকর্তা জানান, ধারাবাহিক বিস্ফোরণের মামলায় অভিযুক্তদের সকলের খোঁজ চলছে। তাৎপর্যপূর্ণ হল, সেই তালিকায় গুরুঙ্গও আছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE