Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ তামাঙ্গের

দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়াকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানালেন জিটিএ প্রধান বিনয় তামাঙ্গ। শুক্রবার শিলিগুড়িতে এক অনুষ্ঠানে বিমল গুরুঙ্গের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন অহলুওয়ালিয়া। শনিবার কলকাতায় বিনয় তামাঙ্গ বলেন, ‘‘পারলে গুরুঙ্গের হাত ধরে এসে আগামী লোকসভা ভোট জিতে দেখান উনি।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:৪৭
Share: Save:

দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়াকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানালেন জিটিএ প্রধান বিনয় তামাঙ্গ। শুক্রবার শিলিগুড়িতে এক অনুষ্ঠানে বিমল গুরুঙ্গের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন অহলুওয়ালিয়া। শনিবার কলকাতায় বিনয় তামাঙ্গ বলেন, ‘‘পারলে গুরুঙ্গের হাত ধরে এসে আগামী লোকসভা ভোট জিতে দেখান উনি।’’

রাজ্যের মন্ত্রীদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার জন্য কলকাতা এসেছেন বিনয়। গত বছরের টানা বন্‌ধ-আন্দোলন পিছনে ফেলে পাহাড় যে পর্যটন থেকে উন্নয়নমূলক কাজ, সব কিছুতে এগিয়ে যেতে চাইছে, সেই বার্তাও দিলেন তিনি। তার পরেই বোঝাতে চাইলেন, গুরুঙ্গকে এখন চাইছেন না পাহাড়ের মানুষ।

এই প্রসঙ্গে অহলুওয়ালিয়ার কথা উঠলে বিনয় বলেন, ‘‘গত বছর উনি কোথায় ছিলেন?’’ তার পরেই বলেন, ‘‘এর আগের বারে উনি প্রায় দু’লাখ ভোটে জিতেছিলেন। এ বারে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি, ২০১৯ সালে গুরুঙ্গের হাত ধরে বিজেপির টিকিটে উনি পাহাড়ে ভোট লড়ুন। ওই দু’লাখ ভোটে হারবেন।’’ একদা বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধেছিলেন গুরুঙ্গ। সেই সুবাদেই এখনও গুরুঙ্গের পাশে দাঁড়াচ্ছেন, যুক্তি অহলুওয়ালিয়ার। বিনয় এ দিন মোর্চার সঙ্গে বিজেপির জোটও খারিজ করে দেন।

অহলুওয়ালিয়া অবশ্য এই কথাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তিনি বলেন, ‘‘বিনয় তামাঙ্গ এখন নিজেই চোরাবালিতে আটকে রয়েছেন। তাই তাঁর মন্তব্যকে কোনও গুরুত্বই দিচ্ছি না।’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘বিনয় আজ তৃণমূলের পতাকার তলায় দাঁড়িয়ে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করছেন। এটা পাহাড়বাসীর প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।’’

পাহাড়বাসীরা কী বলছেন, সেটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE