কেউ বলছেন, ‘দাদা’ বিমল গুরুঙ্গ দিল্লিতে দেখা দিতেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন ‘ভাই’ বিনয় তামাঙ্গ। আবার কারও কটাক্ষ, ‘ফেরার দাদা’ কোনও ভাবে পাহাড়ে ফিরলে তাঁকে কী ভাবে মোকাবিলা করবেন, তা ভাবতে গিয়েই আপাতত ‘ঘরবন্দি’ হয়েছেন তিনি।
প্রায় ৬ মাস আত্মগোপনের পরে বৃহস্পতিবার দিল্লিতে জনসমক্ষে এসে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনায় বসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন গুরুঙ্গ। তার পর থেকেই মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন বিনয়। শুক্রবার দার্জিলিং, কালিম্পঙে পুলিশের বার্ষিক ম্যারাথন কিংবা উত্তরবঙ্গ উৎসবে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকার কথা ছিল বিনয়ের। কিন্তু সেখানেও দেখা যায়নি তাঁকে। ফোনও ধরেননি, জবাব দেননি হোয়াটসঅ্যাপের। জল্পনা শুরু হয়, তা হলে কি তিনি ঘাবড়ে গিয়ে ‘ঘরবন্দি’ হয়ে রয়েছেন? নাকি নীরবে আগামী লড়াইয়ের কৌশল তৈরি করছেন?
শেষ অবধি শুক্রবার বিকেলে মুখ খোলেন জিটিএ-র কেয়ারটেকার বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান অনীত থাপা। নেপালিতে লেখা একটি বিবৃতিতে তিনি দাবি করেন, গত ২৯ অগস্ট তিনি ও বিনয় যখন রাজ্যের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেন, তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন গুরুঙ্গ। পরে আন্দোলন তীব্রতর করার হুমকিও দেন। জিটিএ-র ভাইস চেয়ারম্যানের দাবি, ‘‘এর পরে আমরা ছোটাছুটি করে পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়েছি। জিটিএ-র কেয়ারটেকার বোর্ড গড়ে কাজ চলছে। ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের জন্যও রাজ্যকে বলা হয়েছে। এখন আর গুরুঙ্গের আলোচনায় বসার ইচ্ছের দাম নেই।’’ কটাক্ষ করে অনীত আরও বলেন, ‘‘উনি তো বলতেন, আন্দোলনের জন্য জঙ্গলে কষ্ট করছি। দেখা যাচ্ছে, দিল্লিতে বিজেপির আশ্রয়ে বহাল তবিয়তে বসে আছেন। এতই যদি ঘনিষ্ঠতা, তা হলে বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠকে গোর্খাল্যান্ডের দাবি সমর্থনের বিষয়টি নথিবদ্ধ করান। তা হলে বুঝব!’’
অনীতের বিবৃতিতে হাঁফ ছেড়েছেন আলোচনাপন্থী এবং তৃণমূলের সমর্থকেরা। একান্তে তাঁরা বলছেন, ভাগ্যিস অনীত অন্তত কিছু বললেন! অন্য দিকে, বিজেপির দার্জিলিং জেলা শাখা কিংবা পাহাড়ের গুরুঙ্গ অনুগামী, কেউ-ই বিষয়টি নিয়ে এখনই মন্তব্য করতে নারাজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy