প্রচার। নিজস্ব চিত্র
তারাপীঠের পরে এ বার রামপুরহাট। দিন সাতেকের ব্যবধানে আবারও সেই মহামিছিল। উদ্যোক্তা জেলা তৃণমূল। নেতৃত্বের দাবি, তারাপীঠের মতো রামপুরহাটেও এক লক্ষ সমর্থকের জমায়েত হবে। তাতে ফের শহর অচল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ভোগান্তি হতে পারে তারাপীঠে আসা দর্শনার্থীদেরও।
আবার কেন মহামিছিল? তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা রামপুরহাট মহকুমা পর্যবেক্ষক ত্রিদিব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটের আগে দলের কর্মীদের চাঙ্গা করতেই পর পর মহামিছিল।
আগামী দিনে সিউড়ি, বোলপুরেও এমন সভা হবে।’’ বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক শুভাশিস চৌধুরীর বক্তব্য, ‘‘দিন দিন রাজ্যের শাসকদলের পায়ের তলার মাটি আলগা হচ্ছে। যার জন্য কোনও বিষয় ছাড়াই লোক জড়ো করতে হচ্ছে। আর নাজেহাল হচ্ছেন মানুষ।’’
দিন দশেক আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ তারাপীঠে পুজো দিতে এসেছিলেন। শাহর তারাপীঠে পুজো দিতে আসা ঘিরে এলাকায় উন্মাদনা ছিল। তিনি তারপীঠে পুজো দিয়ে চলে যাওয়ার পরে তিন দিনের মাথায় ১ জুলাই তারাপীঠে তৃণমূল মহামিছিলের ডাক দেয়। তার সাত দিন পরে রামপুরহাটে ফের মহামিছিল হতে চলেছে। আজ, রবিবার বিকেলে সেই মিছিল ঘিরে রামপুরহাট শহরের প্রতিটি প্রধান রাস্তায় ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর বড় বড় কাটআউট টাঙানো হয়েছে। বীরভূমের ‘নব রূপকার’ বলে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বড় কাট আউটেও শহর মুড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও শহরের প্রতিটি মোড়ে বড় বড় গেট করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে তারাপীঠের মহামিছিলে হাজার হাজার তৃণমূল কর্মীর উপস্থিতিতে ফুলিডাঙা বাসস্ট্যান্ডের সমাবেশের শেষে নেমেছিল বৃষ্টি। অনেকেই ঘরে ফিরে গিয়েছিলেন। মঞ্চের সামনে মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে ছাতা মাথায় জেলা সভাপতির বক্তব্য
শুনেছিলেন বাকিরা। হয়েছিল যানজটও। তাতে ভোগান্তিতে পড়েন তারাপীঠে আসা দর্শনার্থীরা। রবিবারের তারাপীঠেও এমনটাই হতে চলেছে বলে অনেকের আশঙ্কা। এ দিনও লক্ষাধিক কর্মী সমাগমের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
তৃণমূল সূত্রের খবর, রামপুরহাট বাসস্ট্যান্ড থেকে ১৩০–১৪০টি বাস মিছিলের জন্য বলা হয়েছে। দুপুর বারোটার পর থেকে রামপুরহাট বাসস্ট্যান্ড থেকে একটিও বাস থাকবে না বলে বাস মালিক সমিতির একটি সূত্রেই খবর। মহামিছিলের জন্য দুপুর একটা থেকে সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত শহরের মধ্যে অটো, টোটো ইত্যাদি না চালানোর জন্যর রামপুরহাট পুরসভার তরফে মাইকে প্রচার করা হয়েছে। মুরারইয়ের এক তৃণমূল কর্মী জানান, রবিবারের মহামিছিলের জন্য প্রতিটি অঞ্চল থেকে ২৫টি করে গাড়ি ভাড়া করে কর্মীরা যোগ দেবেন। এর জন্য তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান, সদস্যরা নিজেদের মধ্যে চাঁদা তুলেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy