Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

জোড়া বাইসনের হানা লোকালয়ে

বন দফতর সূত্রে খবর, এ দিন সাতসকালে নিমতির জঙ্গল থেকে দু’টি বাইসন লোকালয়ে বেরিয়ে আসে। প্রথমে তারা চলে যায় কোচবিহারের দিকে। তারপর সেখান থেকে চলে আসে তপসিখাতায়।

বুনো: আলিপুরদুয়ারের শালবাড়িতে বাইসন। শুক্রবার। ছবি: নারায়ণ দে

বুনো: আলিপুরদুয়ারের শালবাড়িতে বাইসন। শুক্রবার। ছবি: নারায়ণ দে

নিজস্ব সংবাদদাতা
আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৯ ০৬:৫৬
Share: Save:

ফের বাইসনের হানা লোকালয়ে। এ বার জঙ্গল থেকে বেরিয়ে তপসিখাতায় হানা দিল দু’টি বাইসন। বনকর্মীদের তৎপরতায় এই ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাইসন দুটি দাপিয়ে বেড়ানোয় গোটা এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। শেষ পর্যন্ত ঘুম পাড়ানি গুলি ছুড়ে বাইসন দুটিকে বাগে এনে চিলাপাতার জঙ্গলে ছেড়ে দেন বনকর্মীরা।

বন দফতর সূত্রে খবর, এ দিন সাতসকালে নিমতির জঙ্গল থেকে দু’টি বাইসন লোকালয়ে বেরিয়ে আসে। প্রথমে তারা চলে যায় কোচবিহারের দিকে। তারপর সেখান থেকে চলে আসে তপসিখাতায়। খবর পেয়ে চিলাপাতা রেঞ্জ ও দমনপুর রেঞ্জের বনকর্মীরা দ্রুত সেখানে ছুটে যান। বনকর্মীরা বাইসন দু’টিকে তাড়িয়ে দক্ষিণ পাকুড়িতলার দিকে নিয়ে যান। বাইসন দেখতে ততক্ষণে প্রচুর মানুষের ভিড় জমে যায়। সেখান থেকে পাশের গ্রাম শালবাড়িতে ঢুকে যায় বাইসন দু’টি।

স্থানীয় সূত্রের খবর, শালবাড়িতে যখন বাইসন দুটি যায় তখন দুপুর প্রায় বারোটা। সেই সময় কৃষিজমিতে অনেকেই কাজ করছিলেন। আচমকা বাইসন চলে আসায় আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে দেন অনেকেই। শেষ পর্যন্ত দুপুর দুটো নাগাদ একটি বাইসনকে ঘুমপাড়ানি গুলির সাহায্যে কাবু করেন বনকর্মীরা অপর বাইসনটিকে কাবু করা হয় এক ঘণ্টা পর। এ ক্ষেত্রেও ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়তে হয় বনকর্মীদের।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

জলদাপাড়ার সহকারী বন্যপ্রাণী সহায়ক মণীশ যাদব জানান, বাইসনের হানায় গ্রামবাসী বা বনকর্মীদের কারও কোনও ক্ষতি হয়নি।

বিকেলে দুটি বাইসনকেই চিলাপাতার জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bison Attack Forest Department Alipurduar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE