বিষ্ণুপুরের যদুভট্ট মঞ্চে। নিজস্ব চিত্র
বিষ্ণুপুরে বিজেপি প্রার্থী কে হবেন তা এখনও জানা নেই দলের কর্মীদের। তবে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগে কর্মীদের মনোবল বাড়াতে তৎপর হল বিজেপি। বৃহস্পতিবার বিষ্ণুপুরে কর্মীসভা করে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য নেতা সুব্রত চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি তথা রাঢ় বঙ্গের পর্যবেক্ষক বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী, রাঢ় বঙ্গের আহ্বায়ক নির্মল কর্মকার, বিষ্ণুপুর লোকসভার পর্যবেক্ষক অমর শাখা।
বিষ্ণুপুর লোকসভার অন্তর্গত বিষ্ণুপুর, কোতুলপুর, ইন্দাস, সোনামুখী, বড়জোড়া, খণ্ডঘোষ এবং ওন্দা বিধানসভা এলাকা থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী কর্মিসভায় হাজির ছিলেন বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের। সেখানে দিনভর নির্বাচনী রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হয়। বিজেপির বিষ্ণুপুর জেলা সাংগঠনিক সভাপতি স্বপন ঘোষের অভিযোগ, “তৃণমূল ভয় পেয়ে খণ্ডঘোষ থেকে আসা আমাদের দলের কর্মী-সমর্থকদের তিনটি গাড়ি আটকায়। গাড়ি থেকে নামিয়ে কর্মীদের মারধর করা হয়। চার বিজেপি কর্মীর হাত ভেঙে দেয়। একজনকে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলেও নিরাপত্তার অভাবে তাঁকে বর্ধমান নিয়ে চলে যান কর্মীরা। কর্মিসভা থেকেই মহকুমা শাসক ও বিষ্ণুপুর থানায় ঘটনাটি জানানো হয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বুধবার রাতেই আমি এই ধরনের ঘটনার আশঙ্কা করেছিলাম। বিষ্ণুপুর থানায় জানিয়ে রেখেছিলাম।’’
বিষ্ণুপুর লোকসভার বিজেপি পর্যবেক্ষক অমর শাখার অভিযোগ, “শাসক দলের প্রতি মানুষ ক্রুদ্ধ। তাই তাঁরা দলে দলে সাহস নিয়ে বিজেপি করতে রাস্তায় নামছেন। তাঁদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ পুলিশ।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বিজেপি কর্মীদের উপরে হামলায় মূল অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করেনি বলে অভিযোগ বিজেপির। অমর বলেন, ‘‘জেলার পুলিশ সুপারের কাছে আমরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করছি।” জেলা তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “ এই ঘটনার কথা আমার জানা নেই। আমরা কর্মিসভা করতেই ব্যস্ত ছিলাম।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy