প্রতীকী ছবি।
মঞ্চে বসে থাকা নেতাদের সঙ্গে নীচে বসে থাকা নেতা-কর্মীদের বোঝাপড়া নেই। কেউ কাউকে বিশ্বাস করেন না। এ ভাবে কী নির্বাচনে লড়াই করা যায়? বিজেপির রাজ্য কর্মসমিতির বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে এ ভাবেই রাজ্যের নেতা-কর্মীদের বিঁধলেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক শিবপ্রকাশ।
সূত্রের খবর, শিবপ্রকাশ জেলার নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘‘কাজ না করলে পদ কেড়ে নেওয়া হবে।’’ এতটা কড়া ভাষায় না বললেও, দলের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ও জেলা নেতাদের এ দিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বলেছেন, ‘‘আমাদের এক নেতা নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ জানাতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ ছিল, ব্লক লেভেল অফিসারেরা দফতরেই থাকে না। ফলে আমাদের কর্মীরা নাম নথিভুক্ত করতে পারছেন না। কমিশন পাল্টা অভিযোগ করেছে, আপনাদের কর্মীরাই আসেন না।’’
বৈঠকের প্রথম দিন রাজ্য নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন আর এক পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও। শনিবার তিনি বলেন, ‘‘অভি নেহি তো কভি নেহি।’’ যা শুনে দলের এক প্রথম সারির নেতা অভিযোগ করেন, রাজ্যে নেতা-কর্মীরা জেলে যাচ্ছেন। কিন্তু নারদ-সারদা নিয়ে দিল্লি কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। খবর, কৈলাস বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দিয়েছেন।
এ দিনের বৈঠকের পর রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কয়েকটি প্রস্তাব ঘোষণা করেন। যার অন্যতম শিল্প, স্বাস্থ্য এবং আইনশৃঙ্খলার ‘অবনতি’ নিয়ে লাগাতার আন্দোলন। যার সূচনা হবে ২৬ তারিখ নবান্ন অভিযানের মধ্য দিয়ে। তিনি জানান, জাতীয় নাগরিক পঞ্জি নিয়ে কর্মীরা ঘরে ঘরে পৌঁছে পৌঁছে যাবেন। যাঁরা মানুষকে অনুপ্রবেশ সমস্যা বোঝাবেন। এ দিন ঘাটাল এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্বের সভাপতিকেও বদলে দেওয়া হয়। নতুন দুই সভাপতিই সিপিএম থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy