আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বিজেপির কর্মসূচিতে যোগ দেওয়া নিয়ে বিভ্রান্তি স্পষ্ট হল নিহত সেনাদের পরিজনদের মধ্যে!
বিজেপি জানিয়েছিল, নিহত সেনাদের মা এবং স্ত্রীদের নারী দিবসে বিশেষ সম্মান দেওয়া হবে। সেই মতোই শুক্রবার বিজেপির রাজ্য দফতরে আনা হয় পুলওয়ামা-কাণ্ডে নিহত জওয়ান বাবলু সাঁতরার মা, দিদি, বন্ধু এবং জানুয়ারিতে জম্মুতে নিহত বিএসএফ-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট কম্যান্ডার বিনয় প্রসাদের স্ত্রী, কন্যা, মা ও ভাইকে। পাশাপাশি, রাজ্যে ‘ক্রমবর্ধমান নারী নিগ্রহ’-এর প্রতিবাদে এ দিন মুরলীধর সেন লেনে দলের রাজ্য দফতর থেকে শ্যামবাজার মোড় পর্যন্ত মিছিলও করে বিজেপি। মিছিল শুরুর আগে ওই দুই পরিবারের লোকজন যখন বিজেপির রাজ্য দফতরে অপেক্ষা করছিলেন, তখন প্রশ্নের জবাবে বাবলুর প্রতিবেশী বন্ধু সুশীল পাল বলেন, ‘‘আমরা তো মিছিলের জন্য আসিনি। আমরা অন্য কাজে এসেছি।’’ একই সময়ে বিনয়ের ভাই বিকাশ প্রসাদও বলেন, ‘‘আমাদের বলা হয়েছিল, নারী দিবসে মহাজাতি সদনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি আসবেন। সেখানে আমার বৌদি এবং মাকে বিশেষ সম্মান দেওয়া হবে। এখানে এসে জানলাম, স্মৃতি ইরানিও আসেননি, মহাজাতি সদনে কোনও কর্মসূচিও নেই। আমরা কোনও রাজনৈতিক দল করি না। মিছিলের কথা জানলে আমরা আসতাম না।’’
নিহত সেনাদের পরিজনেরা এ দিন শেষ পর্যন্ত শ্যামবাজারে যাননি। মিছিল চলাকালীন বিজেপির রাজ্য দফতরেই বাবলুর মা বনমালা সাঁতরা ও দিদি ভগবতী বিশ্বাস এবং বিনয়ের মা শকুন্তলা দেবী ও স্ত্রী বিদ্যা মিশ্রকে শাল, মানপত্র এবং স্মারক দেন দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ। ওই পর্ব মিটে যাওয়ার পরে বনমালাদেবী অবশ্য বলেন, ‘‘আমার ছেলে দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে বলেই এখন আমাদের বিভিন্ন জায়গায় সম্মান দেওয়া হচ্ছে। না হলে আমাদের আর কে চিনত?’’ সম্মান পেয়ে তাঁর কেমন লাগছে? বনমালাদেবীর জবাব, ‘‘ভাল লাগছে।’’
কিন্তু নিহত সেনাদের ‘অন্য কথা’ বলে আনা হল কেন? রাহুলবাবু বলেন, ‘‘কেউ ওঁদের অন্য কর্মসূচির কথা বলে এনেছিলেন কি না, আমি জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখব। তবে দুই নিহত সেনার পরিবারের মানুষদের সঙ্গে কথা বলে আমার মনে হয়েছে, তাঁরা এখানে এসে যথেষ্ট খুশি। আন্তরিক ভাবেই তাঁরা সম্মান গ্রহণ করেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy