Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

পুলিশি পাহারায় দিলীপের নামচি সফর নির্বিঘ্নেই

সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ দার্জিলিং থেকে বেরিয়ে সোজা সিকিমের মেল্লিতে চলে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সেখানে বিজেপির সিকিমের প্রদেশ সভাপতি ডি বি চহ্বানের সঙ্গে বৈঠক করেন।

দিলীপ ঘোষ

দিলীপ ঘোষ

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৭ ০৪:১৩
Share: Save:

পর পর দু’দিন কালো পতাকা, বিক্ষোভ, হেনস্থার মুখে পড়লেও শুক্রবার দার্জিলিং থেকে সড়ক পথে সিকিমে গিয়ে নির্বিঘ্নেই শিলিগুড়ি ফিরেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এ দিন অবশ্য পুলিশি ব্যবস্থা ছিল। পাশাপাশি তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভও হয়নি কোথাও।

সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ দার্জিলিং থেকে বেরিয়ে সোজা সিকিমের মেল্লিতে চলে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সেখানে বিজেপির সিকিমের প্রদেশ সভাপতি ডি বি চহ্বানের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখান থেকে তিনি নামচির চারধামে শিবমন্দিরে গিয়ে পুজো দেন। বিকেলে শিলিগুড়ি ফেরেন বিজেপি সভাপতি।

তবে সিকিমে কয়েক ঘন্টা থাকাকালীন মোর্চা প্রধান বিমল গুরুঙ্গ বা তাঁর কোনও প্রতিনিধির সঙ্গে বিজেপি সভাপতি বৈঠক হয়েছে কি না তা স্পষ্ট নয়। কারণ, এই নামচিতেই গুরুঙ্গের ডাকা মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে রাজ্য পুলিশ হানা দিয়েছিল। সেই হানাদারির সময় এক মোর্চা সমর্থকের পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল বলে সিকিম পুলিশ দাবিও করেছিল। সিকিম সফরে গিয়ে সেই নামচিতেই কেন দিলীপবাবু কয়েকঘন্টা কাটিয়ে এলেন তা নিয়ে ধন্ধ কাটছে না রাজনৈতিক মহলের। যদিও তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, গুরুঙ্গের সঙ্গে বিজেপি নেতাদের প্রায়ই ফোনে কথা হচ্ছে। সিকিমে কেন গিয়েছেন বিজেপি নেতা তাও নজরে রাখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: নিরাপত্তার ঝুঁকি দেখছে ঢাকা-দিল্লি

ঘটনাচক্রে, এ দিনই গ্যাংটকে ভারতীয় নেপালি শিখর পরিষদের সম্মেলনে গিয়ে সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিংও আলোচনার মাধ্যমেই যে কোনও সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন। আজ, শনিবার কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সিকিমে যাচ্ছেন। বাগডোগরা থেকে হেলিকপ্টারে তিনি ডোকলাম, নাথু লা-সহ সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন বলে খবর। আর দিলীপ শিলিগুড়ি থেকে চলে যাবেন রায়গঞ্জে।

বিজেপি সভাপতির তিন দিনের পাহাড় সফর ঘিরে আদৌ কি কোনও লাভ হল, দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশ অবশ্য সেই প্রশ্নও তুলেছেন।

সেই অংশের মতে, দার্জিলিঙে ক্ষোভ থেকেই বোঝা গিয়েছে পাহাড়ে বিজেপির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তেমনি সমতলের ৪১টি লোকসভা কেন্দ্রে গোর্খাল্যান্ডের বিষয়ে বিজেপির নরম মনোভাবের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে বলেও দলের ওই অংশের মত। দার্জিলিঙে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়ারও যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি জানান, জ্বরের কারণে তিনি পাহাড়ে যেতে পারেননি। যদিও বিজেপি সূত্র বলছে অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলেই সম্ভবত এই সফর থেকে পিছিয়ে আসেন অহলুওয়ালিয়া। আবার জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিংহদের এই সফর ঘিরে আপত্তি ছিল।

যদিও দিলীপবাবুর দাবি, তাঁর সফর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অনুমোদন নিয়েই হয়েছে। যে দিন তিনি পাহাড়ে রওনা দেন সেদিনও কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ কলকাতায় ছিলেন। পাহাড় সফরকালে যে ভাবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে পরামর্শ দিয়েছেন তাতেও তিনি খুশি বলে জানান দিলীপবাবু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE