কলকাতা হাইকোর্ট। ফাইল চিত্র।
কলকাতা হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনেও ব্যাপক জয় পেল বিজেপি। মঙ্গলবারের ওই নির্বাচনে বিজেপি সমর্থিত প্যানেল বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রায় সব ক’টি গুরুত্বপূর্ণ পদে জয়ী হয়েছে।
হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনে মোট ১৫টি আসন। সেই ১৫ আসনের মধ্যে বিজেপি সমর্থিত প্যানেল ৮টি আসনে জয়ী হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজেপির লিগাল সেলের সদস্য পার্থ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন অশোককুমার ঢনঢনিয়া। তাঁর বিপক্ষে তৃণমূল কংগ্রেসের প্যানেলের প্রার্থী ছিলেন স্বপনকুমার দত্ত। সভাপতি ছাড়াও, সহ-সভাপতি, সম্পাদক, সহকারী সম্পাদক পদেও জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্যানেলের প্রার্থী অজয় চৌবে, ধীরজ ত্রিবেদী এবং অপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’
কেবলমাত্র কোষাধ্যক্ষ পদে জয় পেয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী দ্বারকানাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেসের প্রার্থী ঋজু ঘোষাল জয়ী হয়েছেন সহকারী সম্পাদক পদে। হাইকোর্ট সূত্রে খবর, এগ্জিকিউটিভ কমিটির ৯ সদস্যের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপি প্রার্থীরা। ফলে এ বার বার অ্যাসোসিয়েশনের নীতি নির্ধারণ এবং সিদ্ধান্ত যে রাজনৈতিক ভাবে পদ্ম শিবির থেকেই নিয়ন্ত্রিত হবে এটা পরিষ্কার।
আরও পড়ুন: বেহাল বাঘাযতীন উড়ালপুল, চিহ্নিত একাধিক ফাটল, অনিশ্চিত যান চলাচল
আরও পড়ুন: খবর দিল ফেসবুক, পিকনিক গার্ডেনে যুবকের আত্মহত্যা রুখল কলকাতা পুলিশ
রাজনৈতিক ভাবে বার অ্যাসোসিয়েশনের দখল নেওয়া নিঃসন্দেহে বড় ঘটনা। তবে তৃণমূল শিবিরের অভিযোগ, টাকা ছড়িয়ে ওই জয় পেয়েছে বিজেপি। ক’দিন আগেই বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন যে, বিজেপি ২০ লাখ টাকা খরচ করেছে বার অ্যাসোসিয়েশনের ভোট জেতার জন্য। অশোককুমার ঢনঢনিয়াকে বিজেপি নিজেদের প্যানেলের প্রার্থী দাবি করলেও, তৃণমূল শিবিরের দাবি, তিনি নির্দল ছিলেন। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি প্রার্থী ভোটে হেরেছেন। নির্দল প্রার্থীকে নিজেদের বলে চালানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy