কৈলাস বিজয়বর্গীয়। —ফাইল চিত্র।
নেহাতই সৌজন্য, নাকি রাজনৈতিক বৈঠক? দিনভর রাজ্যের গেরুয়া শিবিরে এটাই ছিল মুখ্য আলোচনার বিষয়।
শনিবার দুপুরে কলকাতায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) রাজ্য দফতরে আচমকাই হাজির হন বিজেপির তিন কেন্দ্রীয় নেতা— কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ এবং অরবিন্দ মেনন। তাঁরা প্রত্যেকেই রাজ্যের পর্যবেক্ষক। সঙ্গে ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং আরএসএস নেতা জিষ্ণু বসু। সূত্রের খবর, ঘণ্টা তিনেকের সাক্ষাৎকারে মধ্যাহ্নভোজনও করেন নেতারা। এ বিষয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘নেহাতই সৌজন্য সাক্ষাৎকার। ভিএইচপি তো সঙ্ঘেরই শাখা।’’ ভিএইচপির পূর্ব ভারতের ক্ষেত্রীয় সম্পাদক (সংগঠন) শচীন্দ্রনাথ সিংহও একই কথা বলেন।
তবে গেরুয়া শিবিরের একাংশের ব্যাখ্যা, রাম মন্দির নিয়ে বিজেপির সঙ্গে প্রকাশ্য সংঘাতে নেমেছে ভিএইচপি। তাই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ভোটের আগে ভিএইচপি নেতাদের সঙ্গে দেখা করে দূরত্ব কমানোর। সে কারণেই এ দিন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা পৌঁছে যান ভিএইচপি-র দফতরে। নির্বাচনে পাশে থাকার বার্তাও দেওয়া হয়। বস্তুত, এর আগেও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে গিয়ে বিজেপির হয়ে প্রচার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ভিএইচপি-কে।
সূত্রের খবর, এ মাসে ফের রাজ্যে আসার কথা আরএসএস প্রধান মোহন ভগবতের। উত্তরবঙ্গে জরুরি বৈঠক হওয়ার কথা। যেখানে থাকার কথা বিজেপি, ভিএইচপি-সহ সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের। কৈলাস জানান, আগামী ১৬ তারিখ উত্তরবঙ্গে সভা করবেন অমিত শাহ। দিলীপবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘সভাপতি আসবেন। তবে সভা হবে, না কি কর্মিসভা, সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy