লোকসভা ভোটে অনন্ত মহারাজপন্থী গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন তাদেরই সমর্থন করবে বলে দাবি করল বিজেপি।
মঙ্গলবার বক্সিরহাট সংলগ্ন অসমের গোলকগঞ্জের ছাগলিয়ায় বীর চিলা রায়ের ৫০৯ জন্মজয়ন্তী পালন করে গ্রেটার। সেই অনুষ্ঠানে গ্রেটার নেতা অনন্ত রায়ের (মহারাজ বলে পরিচিত) সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কোচবিহারের বিজেপি নেতা হেমচন্দ্র বর্মণ। এ ছাড়াও গোলকগঞ্জের বিধায়ক অশ্বিনী রায় সরকার ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে ফিরে আসার বুধবার বিজেপির প্রাক্তন কোচবিহার জেলা সভাপতি হেমচন্দ্রবাবু বলেন, “গত বিধানসভা নির্বাচন থেকেই গ্রেটার আমাদের সঙ্গে আছে। এ বারেও তারা নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইছে। তাঁদের আমন্ত্রণেই ওই সভায় গিয়েছিলাম। মহারাজের সঙ্গে কথা হয়েছে।”
গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা অনন্ত মহারাজের মোবাইল সুইচ অফ থাকায় এদিন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। ওই সংগঠনের একাধিক নেতার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, “সমস্ত সিদ্ধান্ত মহারাজ নেবেন।”
কোচবিহারের শহরের কাছে বরগিলাতে অনন্ত মহারাজের বাড়ি রয়েছে। গ্রেটারের সদস্যরা ওই বাড়িকে ‘রাজপ্রাসাদ’ বলেন। একসময় ওই বাড়িতে বসেই সংগঠনের কাজ করতেন অনন্ত মহারাজ। দেড় বছরের বেশি সময় ধরে তাঁকে ওই বাড়িতে দেখা যায় না। তিনি কোথায় আছেন তা নিয়ে কোনও তথ্যও জানানো হয় না।
গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে মাদারিহাটে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সভায় ছিলেন অনন্ত মহারাজ। প্রচুর গ্রেটার সমর্থকরাও কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি থেকে ওই সভায় যোগ দেন। সেই সময় মাদারিহাট আসনে বিজেপি জয়ী হলেও কোচবিহারে কোনও আসন পায়নি তারা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দেড়েক আগে বেআইনি ভাবে নারায়ণী সেনা নামে একটি সংগঠন তৈরি, শিল্পতালুকের জমি দখল থেকে শুরু করে একাধিক মামলা হয় গ্রেটার নেতার বিরুদ্ধে। তার পর থেকে তিনি রাজপ্রাসাদ ছেড়ে অসমে চলে যান বলে দল সূত্রে খবর। এ দিনই প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছে তাঁকে। দলীয় সূত্রের খবর, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে গ্রেটারের ভোট একবাক্সে ফেলতে চায় বিজেপি। তাই ফের একসঙ্গে দেখা গেল বিজেপি ও গ্রেটার নেতাদের। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “মানুষ উন্নয়নের সঙ্গে রয়েছেন। যারা অশান্তির ছক তৈরি করছেন তাঁদের সঙ্গে মানুষ নেই। গোটা দেশে পরাজিত হবে বিজেপি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy