প্রতীকী ছবি।
পাশের জেলায় গত দু’সপ্তাহে ৭ জন শবরের মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এরপর নড়েচড়ে বসেছেন প্রশাসনিক কর্তারা। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে মঙ্গলবার, ছুটির দিনেই ব্লকের লোধা অধ্যুষিত এলাকা পরিদর্শন করলেন ব্লক প্রশাসনের কর্তারা।
এ দিন সবং ব্লকের সদর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুণ্ডলপাল গ্রামে যান বিডিও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ব্লক প্রশাসনের প্রতিনিধিরা। বিডিও ছাড়াও ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হাজরা বিবি, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ বাবুলাল মাইতি, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুকুমার বারিক প্রমুখ। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বলেন, “আমাদের ধারাবাহিক উন্নয়ন চলছে। যেহেতু ঝাড়গ্রামে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে তাই আমাদের ব্লকে যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, তাই আগাম সতর্ক হচ্ছি আমরা। তাই ছুটির দিনে বসে না থেকে এলাকায় গিয়েছিলাম।” যদিও ঝাড়গ্রামের বিষয়টি এড়িয়ে বিডিওর সতর্ক প্রতিক্রিয়া, “সরকারের জনমুখী উন্নয়ন সম্পর্কে মানুষকে জানাচ্ছি আমরা। মাস খানেক আগেই জেলাশাসক আমাদের ব্লকে এসে এমন কিছু এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন। যাতে এলাকায় স্থায়ী উন্নয়ন করা যায় তাই প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতেই আমরা সমীক্ষা করব।”
ব্লকের সবং গ্রাম পঞ্চায়েতের কুণ্ডলপালের লছমা পুকুরঘাট ঘিরে প্রায় ৪৪টি লোধা পরিবারের বসবাস। জনসংখ্যা প্রায় ৩৫০জন। তবে উন্নয়নের নিরিখে এখনও ওই এলাকা বেশ খানিকটা পিছিয়ে। এমনকী, যে পুকুরঘাট ঘিরে এই লোধাদের বসবাস সেটিও সংস্কারের অভাবে জঙ্গলে ভরে গিয়েছে। এছাড়াও এলাকার একমাত্র টিউবওয়েল মেরামতের অভাবে ধুঁকছে। অভাব রয়েছে পথবাতির। বেশ কয়েকজনের রেশন কার্ড হয়নি। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চত্বরে জমছে দূষিত আবর্জনা। এ দিন এ সম্পর্কে স্থানীয়দের মুখ থেকে অভাব-অভিযোগ শুনে এলাকাটি পরিদর্শন করেন সকলে। মেলে আশ্বাসও—দ্রুত এমন অবস্থার বদল হবে। বিডিও বলেন, “ওই এলাকায় পথবাতি, পুকুর সংস্কার, রাস্তা মেরামতি, টিউবওয়েল মেরামতির কাজ দ্রুত করা হবে। এলাকায় উন্নয়ন চলছে। তবে এ বার আমরা লোধা, শবর, তফসিলি জাতি-জনজাতি অধ্যুষিত এলাকা ঘুরে সমস্যা বোঝার চেষ্টা করছি। স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করতে চাইছি।” আর হাজরা বিবির কথায়, “আমরা ১৫নভেম্বর সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানদের ডাকছি। প্রতিটি এলাকার জন্য একটি ছক তৈরি করে সমীক্ষার মাধ্যমে উন্নয়ন করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy