দেহাংশের খোঁজে পুকুরে জাল ফেলা হচ্ছে। ছবি: সুব্রত জানা
তদন্তের দ্বিতীয় দিনে ডোমজুড়ের নিহত ব্যাঙ্ককর্মী পার্থ চক্রবর্তীর কাটা দু’টি হাত, মুণ্ড এবং দু’টি পা উদ্ধার করল পুলিশ। গ্রেফতার করা হল একজনকে। উদ্ধার হয়েছে পার্থর কাছ থেকে খোয়া যাওয়া ব্যাঙ্কের ৩ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকাও।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে ডোমজুড়ের নিবড়া ও অঙ্কুরহাটির মধ্যে মুম্বই রোডের ধার থেকে পার্থবাবুর দেহাংশগুলি মেলে। সেগুলি প্লাস্টিকে মোড়া ছিল। তার আগে কাটলিয়ার বাসিন্দা এক স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলার স্বামীকে আটক করেছিল পুলিশ। পুলিশের দাবি, সেই জেরাতেই শেখ সামসুদ্দিন ভেঙে পড়ে অপরাধের কথা কবুল করে। জেরায় সে জানিয়েছে, ব্যাঙ্ক থেকে সে কয়েক লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিল। ঋণ শোধের জন্য তাকে চাপ দিতেন ব্যাঙ্ককর্মী পার্থ চক্রবর্তী। পার্থবাবুর সঙ্গে এই নিয়ে তার বিবাদও হয়। ঘটনার দিন পার্থবাবুকে মোটরবাইকের পিছনে বসিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় সামসুদ্দিন। অভিযোগ, সেখানেই তাকে খুন করে সে।
এ দিন জেরার পরে সামসুদ্দিনকে নিয়ে পুলিশ রাতে মুম্বই রোডের ধারে গিয়ে ওই দেহাংশগুলি উদ্ধার করে। গ্রেফতার করা হয় সামসুদ্দিনকে। সামসুদ্দিনের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ৩ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকাও। পুলিশ জানিয়েছে, সামসুদ্দিনের বাড়ি থেকে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রটিও মিলেছে। তবে পার্থর সাইকেলটি রাত পর্যন্ত পুলিশ পায়নি।
পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত জানিয়েছে, সে পার্থকে খুন করে দেহটিকে খণ্ড খণ্ড করার কাজ একাই করেছে। তবে এই দাবি কতদূর সত্য তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বুধবার সকালে মাকড়দহের পাঁচটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাছ থেকে ঋণ আদায় এবং ঋণ দেওয়ার কাজ নিয়ে বেরোন পার্থ। চারটি গোষ্ঠীর সঙ্গে কথা বললেও পঞ্চম গোষ্ঠীর কাছে তিনি যাননি। দুপুরে নীল প্লাস্টিকে মোড়া তাঁর খণ্ডিত দেহ মেলে ডোমজুড়ের রাঘবপুরের মাকড়দহ-একসরা রোডের একটি বাঁশবনের ধারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy