Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
State news

অনাস্থায় ১৪-০ ভোটে জয়ী বনগাঁর পুরপ্রধান, ভোটাভুটি এড়ালেন বিজেপি কাউন্সিলররা

২২ আসনের বনগাঁ পুরসভায় পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূলের ১২ জন কাউন্সিলর দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন।

ভোটাভুটিতে জয় হয়েছে তৃণমূলেরই। —ফাইল চিত্র।

ভোটাভুটিতে জয় হয়েছে তৃণমূলেরই। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৪:০৬
Share: Save:

বিনা বাধায় জয় হল বনগাঁর পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যের। যে ১৪ জন কাউন্সিলর বৃহস্পতিবার অনান্থা ভোটে হাজির হয়েছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকে পুরপ্রধানের পক্ষেই ভোট দেন। ফলে ভোটের ফলাফল ১৪-০।

২২ আসনের বনগাঁ পুরসভায় পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূলের ১২ জন কাউন্সিলর দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। ফলে পুরসভায় দলীয় বিন্যাস দাঁড়ায় ১২-৮এ। অর্থাৎ, বিজেপির ১২ জন এবং তৃণমূলের ৮ জন। বাকি ২ জনের মধ্যে এক জন সিপিএম এবং এক জন কংগ্রেসের। এর কিছু দিন পরেই বিজেপি থেকে এক কাউন্সিলরকে দলে ফিরিয়ে নেয় তৃণমূল। ফলে বিজেপি কাউন্সিলরের সংখ্যা কমে হয় ১১ এবং তৃণমূলের এক জন বেড়ে ৯। অনাস্থা ভোটও হয় এর আগে। তখন ভোট হলে বিজেপি নির্দ্বিধায় জিতে যেতে পারত। কিন্তু ভোটের দিন ২ কাউন্সিলরকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ আনে বিজেপি। ফলে সে দিন ভোটাভুটি হয়নি। দু’দলই জিতে গিয়েছে বলে দাবি করেছিল।

এর পরই বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। সব প্রক্রিয়া বাতিল করে জেলাশাসকের দফতরে নতুন করে অনাস্থার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এর পর আরও ৪ জনকে দলে ফেরায় তৃণমূল। ফলে বিজেপির কাউন্সিলর ১১ থেকে কমে ৭ হয়ে যায় আর তৃণমূলের ৯ থেকে বেড়ে হয় ১৩।

আরও পড়ুন: মেট্রোর নোটিস পেয়ে বৌবাজারের বাড়ি ছাড়লেন মন্ত্রী তাপস রায়, পথ অবরোধ নারাজ বাসিন্দাদের

এ দিন সকালে ভোটাভুটির সময়ে মোট ১৪ জন কাউন্সিলর হাজির হন জেলাশাসকের দফতরে। কোনও রকম গণ্ডগোল এড়ানোর জন্য কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে দেওয়া হয় জেলাশাসকের দফতর। বিজেপির কোনও কাউন্সিলর অবশ্য ভোটাভুটিতে উপস্থিত হননি।

আরও পড়ুন: ‘ক্ষমতায় এলে জুতো পালিশ করবে পুলিশ’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE