কুকুরের বাচ্চাকে ব্যবহার করে তন্ত্রসাধনার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল হুগলির ডানকুনি হাউসিং। তবে পুলিশ কোনও অভিযোগ নেয়নি বলে দাবি পশুপ্রেমীদের। উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত যুবককে মারধর করে। সেই সময়ে পুলিশ যুবককে উদ্ধার করার পরে মাঝপথে উধাও হয়ে যান তিনি।
আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে থাকেন বছর চৌত্রিশের যুবক দীপ। সেখানেই তিন-চার মাস বয়সের কুকুরের বাচ্চাকে ধরে আনেন তিনি। কুকুর মেরে তন্ত্রসাধনার অভিযোগ আগেও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও তখন হাতেনাতে প্রমাণ পাননি বাসিন্দারা। শনিবার দীপের ফ্ল্যাটের বারান্দায় একটি কুকুর ছানাটিকে টাঙানো দেখে ফের সন্দেহ হয় তাঁদের।
স্থানীয়দের দাবি, হাওড়ার বালিঘাট থেকে একটি কুকুরের বাচ্চা নিয়ে আসেন ওই যুবক। বাচ্চাটি একটি ইঁদুর খেয়ে ফেলায় তাকে স্নান করানোর পরে ঝুলিয়ে রেখেছিলেন তিনি। জানাজানি হতেই অভিযুক্তের সঙ্গে কথা বলতে যান স্থানীয় বাসিন্দা এবং পশুপ্রেমীরা। তাঁদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় যুবকের। বাসিন্দাদের তিনি হুমকি দেন, ‘‘যা করার করে নিতে পারেন।’’ হাতাহাতিও হয় দু’পক্ষের। ডানকুনি থানায় খবর গেলে পুলিশ এসে তাঁকে আটক করে। তবে থানায় পৌঁছনোর আগেই ওই যুবককে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রের দাবি, ‘ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন। নিয়ে যাওয়ার সময় প্রচণ্ড হাত-পা ছুড়ছিলেন। তাতেই গাড়ি থেকে ছিটকে বেরিয়ে যান তিনি।’ এই ঘটনার পরে শনিবার থেকে অভিযুক্তকে পাওয়া যায়নি বলে খবর। আক্রান্ত কুকুর ছানাটিকে অবশ্য উদ্ধার করেছেন স্থানীয়েরা।
পশুপ্রেমীদের ফেসবুক পেজ ‘সেভ লাইভ গ্রুপ’-এর অ্যাডমিন সিয়া রায়ের দাবি, অভিযোগ দায়ের করতে গেলে শনিবার এবং রবিবার কোনও দিনই ডানকুনি থানা অভিযোগ নেয়নি। সিয়া-দের বক্তব্য, ‘‘কেউ মানসিক ভারসাম্যহীন হলেই তো কাউকে মারার অধিকার পেতে পারেন না। এখন পশু-পাখি মারছেন। পরে মানুষ মারবেন।’’ তাঁদের যুক্তি, যুবকের ফ্ল্যাটের একটি ঘরে কাটারি, সিঁদুর আর মোমবাতি জ্বলছে। অন্য বন্ধ ঘরটি থেকে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে। পুলিশের বক্তব্য, যাঁরা রবিবার সকালে অভিযোগ করতে এসেছিলেন, তাঁদের সন্ধ্যায় আসতে বলা হয়। নির্দিষ্ট ধারাতেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হবে। সিয়ার দাবি, সন্ধ্যায় আসতে বলা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy