কোনও দল ভোটে না লড়লে তাদের রাজনৈতিক দল হিসেবে থাকার যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এইচ এস ব্রহ্ম। শনিবার কলকাতায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘ইলেকশন ওয়াচ’-এর পশ্চিমবঙ্গ শাখা আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নির্বাচনী সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দেশে এখন নির্বাচন কমিশনে নথিভুক্ত ১৬০০টি রাজনৈতিক দল রয়েছে। ভোটে লড়ে মাত্র ২০০টি দল। “ভোটে না লড়লে রাজনৈতিক দল রাখার প্রয়োজন কী?”
এর পাশাপাশি ব্রহ্ম জানান, অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করার দায়িত্ব প্রধানত রাজনৈতিক দলগুলিরই। তাই ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত কোনও ব্যক্তিকে রাজনৈতিক দলগুলির নির্বাচনে প্রার্থী করা উচিত নয় বলে মনে করেন তিনি। তাঁর মতে, নির্বাচনী ব্যবস্থায় সংস্কারের আগে রাজনৈতিক সংস্কার জরুরি।
কেন? ব্রহ্ম বলেন, “প্রার্থী বাছাইয়ের সময় দলগুলির সতর্ক থাকা উচিত। কারণ অনেক সময় দেখা যায়, প্রার্থীদের কারও কারও বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা আছে। আইনগত ত্রুটি না থাকলে কমিশন কারও প্রার্থীপদ বাতিল করতে পারে না।” তাই ব্রহ্মের অভিমত, ভোটের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির দায়িত্ব মূলত রাজনৈতিক দলের। কমিশন এই ব্যাপারে আইনগত ও প্রশাসনিক দিক থেকে সব ব্যবস্থা করার চেষ্টা করে।
ভোট প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করতে আধার কার্ডের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন ব্রহ্ম। জানান, অগস্টের মধ্যে দেশের সব ভোটারকে আধার কার্ড দেওয়া সম্ভব হবে। তখন ভোটারের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে ভোটকেন্দ্রে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবে। সেটি হলে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ভুয়ো ভোটার মুক্ত করা সম্ভব হবে বলে দাবি ব্রহ্মের। মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার আরও জানান, জনগণনার সঙ্গে যুক্ত সরকারি কর্তারা তাঁকে জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই দেশের ৮৫ কোটি মানুষের আধার কার্ড হয়েছে। বাকি ৩৫ কোটির আধার কার্ড অগস্টের মধ্যেই হয়ে যাবে। পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত ৫৫% মানুষের আধার কার্ড তৈরি হয়েছে বলে ওই কর্তারা তাঁকে জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy