অভিযুক্ত সতীশ কুমার। —নিজস্ব চিত্র।
স্ত্রী আর শ্বশুরই সব জানেন। সিবিআই সূত্রের দাবি, নামি-বেনামি সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন করলেই এমনই জবাব মিলছিল বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমারের কাছে। তিনিও যে কিছু জানেন তা প্রমাণ করতেই রবিবার সতীশের সামনে টানা বসিয়ে জেরা চলল তাঁরই তিন হিসাবরক্ষকের। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, হিসাবরক্ষকদের সামনে আর এদিক ওদিক করতে পারছেন না বিএসএফ কর্তা। ধীরে ধীরে তিনি গরু-কাহিনী বলতে শুরু করেছেন।
তদন্তকারীরা দাবি করেছেন, গরু পাচারের টাকা বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে লগ্নি করা হত। তাতে এনামুল এবং সতীশের প্রত্যক্ষ যোগ ছিল। সেই কাজ যে তিন হিসাবরক্ষক করতেন তাঁদের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বহু নথি পাওয়া গিয়েছে। তাঁরা সিবিআইয়ের কাছে গরু পাচারের টাকা ঘোরানো, হাওয়ালার মাধ্যমে পাচারের কথা মেনে নিয়েছেন বলে দাবি তদন্তকারীদের। তাতে সতীশ ও এনামুলের যৌথ ভূমিকার কথাও জানিয়েছেন তাঁরা। রবিবার নিজাম প্যালেসের দফতরে সেই তিন হিসাবরক্ষক এবং সতীশকে সামনাসামনি বসানো হয়েছিল। সিবিআইয়ের কাছে তাঁদের দেওয়া লিখিত স্বীকারোক্তি দেখাতেই সত্যি কথা বেরতে শুরু করেছে বলে দাবি।
সিবিআই জানাচ্ছে, গরু পাচারের টাকা কী ভাবে প্রভাবশালীদের কাছে পৌঁছত সেটা প্রকাশ করাই তদন্তের মূল কাজ। গরু পিছু বিএসএফ ১০ হাজার এবং পুলিশ-প্রভাবশালীদের জন্য ১৫ হাজার বরাদ্দ ছিল বলে সিবিআই দাবি করেছে। গরু করিডরের থানার ওসি, এসডিপিও, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থেকে এডিজি পর্যন্ত অফিসারদের বয়ান নেওয়ার প্রস্তুতিও চলছে। সিবিআই জানাচ্ছে, প্রভাবশালীদের জেরার জন্য ডাকা হবে। সিবিআইয়ের পাশাপাশি ইডি, আয়কর এবং এনআইএ এ পর্যন্ত সব এজেন্সি সমন্বয় রেখে কাজ করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy