Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Khajuraho

খাজুরাহোয় বাস দুর্ঘটনায় আহত এ রাজ্যের পর্যটক দল

কলকাতা, দুর্গাপুর এবং বারাসত থেকে সব মিলিয়ে ৬ প্রবীন দম্পতি ৩ মার্চ গিয়েছিলেন অমরকণ্টক।

রাস্তায় উল্টে পড়ে রয়েছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি।—নিজস্ব চিত্র।

রাস্তায় উল্টে পড়ে রয়েছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৯ ২০:০০
Share: Save:

ঘুরতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন পশ্চিমবঙ্গের একদল প্রবীণ পর্যটক।মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহোর কাছে এক বাস দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁরা। বুধবার সকালে খাজুরাহো থেকে সাতনা যাওয়ার পথে ঘটনাটি ঘটেছে। এ দিনই সাতনা স্টেশন থেকে কলকাতা ফেরার ট্রেন ধরার কথা ছিল ওই পর্যটকদের।

কলকাতা, দুর্গাপুর এবং বারাসত থেকে সব মিলিয়ে ৬ প্রবীন দম্পতি ৩ মার্চ গিয়েছিলেন অমরকণ্টক। সেখান থেকে যান খাজুরাহো। এঁদেরই একজন দুর্গাপুরের প্রবীরকুমার চৌধুরী। দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী প্রবীরবাবু ছাত্তারপুর জেলা হাসপাতালের বেডে শুয়ে এ দিন বিকালে ফোনে আনন্দবাজারকে বলেন,“আমরা সবাই ছিলাম একটি ট্রাভেলার বাসে। ১২ জন ছাড়াও ছিলেন রান্নার দু’জন কর্মী এবং চালক। আমরা খাজুরাহো থেকে ১০টা নাগাদ রওনা হয়েছিলাম। সাতনা স্টেশন থেকে বিকেলে কলকাতার ট্রেন ধরার কথা।”

৭২ বছরের প্রবীরবাবুর পাশের বেডেই রয়েছেন সঞ্জিৎ সাহা। তিনি বলেন, “খাজুরাহো ছেড়ে কিছুটা এগোনর পরেই রাস্তার ভুল দিক থেকে একটি গাড়ি চলে আসে। ওই গাড়ি কাটানোর চেষ্টা করেন আমাদের গাড়ির চালক। তাতে আমাদের বাস উল্টে যায়। ধাক্কা মারে একটা গাছে।”

দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটি।—নিজস্ব চিত্র।

আরও পড়ুন: ফের নো-ফ্লাই জোনে পাক যুদ্ধবিমান, হাই অ্যালার্ট ভারতীয় বায়ুসেনায়​

স্থানীয়রাই প্রথম উদ্ধারে এগিয়ে আসেন। তাঁরাই আহতদের গাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যান খাজুরাহোর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেখান থেকে পুলিশ তাঁদের নিয়ে যায় জেলা হাসপাতালে। প্রবীরবাবুর সঙ্গে রয়েছেন তাঁর শ্যালক এবং তাঁর স্ত্রী । প্রবীরবাবু জানিয়েছেন, তাঁর পাঁজরে চোট লেগেছে। তাঁর স্ত্রী বাষট্টি বছরের লক্ষ্মীদেবীর মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। বারাসতের বাসিন্দা তাঁর শ্যালকও বেশ ভাল রকম জখম। দলে রয়েছেন কলকাতা পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী তরুণ নিয়োগী। এঁরা প্রত্যেকেই কমবেশি আহত। খাজুরাহো পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন অন্য গাড়িটির চালক। পর্যটকদের বাসের চালকের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

প্রবীরবাবু এবং তাঁর সঙ্গীদের অভিযোগ হাসপাতালের অব্যাবস্থা নিয়ে। প্রবীরবাবু বলেন, “হাসপাতালে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। চিকিৎসক নেই। সেই সঙ্গে প্রচণ্ড নোংরা।”

আরও পড়ুন: সারা দেশে চলছে অঘোষিত ‘সুপার-ইমার্জেন্সি’, বিজেপিকে তোপ মমতার​

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয় মধ্যপ্রদেশ পুলিশের সঙ্গে। রাজ্য পুলিশ আহত পর্যটকদের সঙ্গেও কথা বলেন। এঁরা সবাই দ্রুত বিমানে কলকাতা ফিরে আসতে চান। তাঁরা স্থানীয় পুলিশকেও অনুরোধ জানিয়েছেন দ্রুত কলকাতায় ফেরার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য।

(মালদহ, দুই দিনাজপুর, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং সহ উত্তরবঙ্গের খবর, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা খবর পড়ুন আমাদের রাজ্য বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE