মধ্যমগ্রামের বাদু রোডে জ্বলছে বাস। ছবি: সুদীপ ঘোষ।
আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার জন্য নাতি আর মেয়েকে নিয়ে বেরিয়েছিলেন জাহানারা বিবি। বাসের পাদানিতে পা-ও রেখেছিলেন। কিন্তু বাসচালক গন্তব্যে পৌঁছতে দিলেন না। আচমকা দৌড়, তার পর ব্রেক, ফের দৌড় বাসের। পাদানি থেকে নাতিকে নিয়ে পড়ে গেলেন জাহানারা। পিষে দিয়ে গেল বাস।
বুধবার সকালে এই ঘটনায় প্রবল উত্তেজনা ছড়ায় মধ্যমগ্রাম থানা এলাকার দিগবেড়িয়ায়। স্থানীয় তেঁতুলতলার বাসিন্দা জাহানারা বিবি। ছেলে জাকির হোসেন পেশায় রাজমিস্ত্রী। জাকিরের চার বছরের ছেলেকে নিয়ে খড়িবাড়ি যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলেন জাহানারা। সঙ্গে জাহানারার এক মেয়েও ছিলেন। বাগবাজার-খড়িবাড়ি রুটের একটি বাসে দিগবেড়িয়া বাসস্ট্যান্ড থেকেই ওঠেন তাঁরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জাহানারার মেয়ে সবে বাসে উঠেছেন। ঠাকুমা ও নাতি তখনও সামনের গেটের পাদানিতে। এর মধ্যে ছেড়ে দেয় বাস। দ্রুত এগিয়েই সামনের একটি গাড়িকে এড়াতে সজোরে ব্রেক কষেন বাসচালক। তার পর ফের গতি বাড়িয়ে ছুটতে শুরু করেন। নাতিকে নিয়ে সবে পাদানিতে পা রাখা জাহানারা আর টাল সামলাতে পারেননি। পড়ে যান বাস থেকে। বেপরোয়া বাসের পিছনের চাকা পিষে দিয়ে যায় দু’জনকেই।
দুর্ঘটনার পর উত্তেজিত লোকজন বাসটিকে তাড়া করে। আধ কিলোমিটার এগিয়ে বাসটিকে রাস্তায় রেখেই পালিয়ে যান চালক। স্থানীয় জনতা বাসটিতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অবরোধ চলে। পরে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। বাসের আগুন নেভাতে পাঠানো হয় দমকলের ইঞ্জিনও। বাসটিকে আটক করেছে পুলিশ। চালকের খোঁজ চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy